ধারাবাহিক অনুযায়ী শ্রীময়ী ছিল রোহিত সেনের কলেজ জীবনের প্রথম প্রেম।
অতিমারির সময় নেটপাড়ায় ধারাবাহিকের চরিত্রদের নিয়ে সমালোচনা যেন এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় বিষয়। সেই সমালোচনার আসরে ‘শ্রীময়ী’ ধারাবাহিক যে সব থেকে এগিয়ে তা নেটাগরিকদের অধিকাংশই মানবেন। লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের 'শ্রীময়ী' ধারাবাহিকের হাত ধরে তেমনই ‘রোহিত সেন’ নেটাগরিকদের নয়নের মণি। এই ‘রোহিতদা’ বা ‘রোহিত আঙ্কেল’-এর সব আচরণ নিয়েই নেটাগরিকদের বক্তব্য আছে।
শ্রীময়ীর সেই ‘রোহিতদা’-ই এ বার সমালোচনার মুখে। নেটাগরিকদের মতে রোহিত সেন এ বার তন্ত্র মন্ত্রের সাহায্যে বশ করতে চাইছেন অনিন্দ্যর প্রাক্তন জায়া শ্রীময়ীকে। কেউ লিখছেন, ‘রোহিতদা এভাবেই চেষ্টা করে যান, একদিন ফল পাবেনই' । মজা করে আবার কেউ রোহিতের মন পড়ে ফেলেছেন এবং বলছেন, ‘রোহিত আঙ্কেল(মনে মনে): হে বিধাতা আমাকে তুমি ছোটু আর শ্রীময়ীকে কেন দিঠি বানালে না?’। আবার নেট-পাড়ার একাংশ এমন চিন্তাধারাকে ধিক্কার জানিয়েছে।
কিন্তু কেন এমন মনে করছেন নেটাগরিকরা?
নেটাগরিকদের মতে, বস্তা বস্তা টাকা খরচ করেও শ্রীময়ীকে নিজের কাছে টানতে পারেনি রোহিত সেন। তাই তাঁরা মনে করছেন, এ বার তন্ত্রের সাহায্য নিতে পারে রোহিত সেন।
আসলে ধারাবাহিক অনুযায়ী শ্রীময়ী ছিল রোহিত সেনের কলেজ জীবনের প্রথম প্রেম। বহু বছর পর বিদেশ থেকে দেশে ফেরে সে। এসে দেখে তাঁর সেই বান্ধবী বিপদে। তখনই সব দিক থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় রোহিত। প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে সেই সাহায্য গ্রহণ করে শ্রীময়ী।
তবে নেটাগরিকদের একাংশের প্রশ্ন, টাকা গ্রহণ করলেও প্রেম কেন গ্রহণ করছে না শ্রীময়ী? তাই শ্রীময়ী কে অনেকে ‘গোল্ড ডিগার’ অর্থাৎ লোভী বলেও কটাক্ষ করছেন, সঙ্গে সহানুভূতি দেখিয়েছেন রোহিত সেনকে। কেউ কেউ নেট-পাড়ায় রোহিত সেনের তুলনা করেছেন 'কাকলি ফারনিচারস্' এর সঙ্গে। তবে নেটপাড়ায় সবার মনে একটি প্রশ্ন বেশ ঘুরপাক খাচ্ছে যে রোহিত সেন আর শ্রীময়ীর কি মিল হবে? কোন দিকে মোড় নেবে ধারাবাহিকের নতুন গল্প?