‘আইসি এইট ওয়ান ফোর— দ্য কান্দাহার হাইজ্যাক’ ওয়েব সিরিজ়ের একটি দৃশ্যে বিজয় বর্মা। ছবি: সংগৃহীত।
সমাজমাধ্যমে বিতর্ক এবং কেন্দ্র সরকারের আপত্তির জেরে ওটিটি মঞ্চের কর্তা ‘আইসি এইট ওয়ান ফোর— দ্য কান্দাহার হাইজ্যাক’ ওয়েব সিরিজ়ের বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণে কিছু রদবদল করেছেন।
১৯৯৯ সালে ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের বিমান অপহরণকে কেন্দ্র করে তৈরি সিরিজ়টি গত সপ্তাহে ওটিটিতে মুক্তি পেয়েছে। এই সিরিজ়ে কয়েক জন অপহরণকারীর যে নাম ব্যবহার করা হয়েছে, তা নিয়ে আপত্তি উঠেছে। ঘটনার জেরে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের তরফে ব্যখ্যা চাওয়া হয়। মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট ওটিটি মাধ্যমের শীর্ষকর্তা মণিকা শেরগিল তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের সেক্রেটারি সঞ্জয় জাজুর সঙ্গে দেখা করেন।
সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে কেউ কেউ বলেছেন কাঠমান্ডু থেকে দিল্লিগামী যে বিমানটিকে অপহরণ করা হয়, তার অপহরণকারীদের পরিচয় বদলে দেওয়া হয়েছে। অপহরণকারীদের এক জনের ছদ্মনাম ‘ভোলা’ এবং অন্য জনের ছদ্মনাম ‘শঙ্কর’ রাখা হয়েছে। তা থেকেই শুরু হয় চর্চা এবং সমালোচনা। মণিকা বলেন, ‘‘১৯৯৯ সালের কান্দাহার হাইজ্যাকের সঙ্গে যাঁরা অবগত নন, সেই দর্শকের কথা মাথায় রেখেই আমরা ডিসক্লেমারে অপহরণকারীদের আসল এবং ছদ্মনামও এ বার রেখেছি।’’ যে কোনও বাস্তব ঘটনা পর্দায় তুলে ধরতে তাঁরা যে গবেষণালব্ধ তথ্যের উপরে জোর দেন, সে কথাও স্পষ্ট করেন তিনি।
২০০০ সালের ৬ জানুয়ারি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের তরফে প্রকাশিত একটি বিবিৃতি অনুসারে বিমানটির পাঁচ জন অপহরণকারীই ছিলেন মুসলমান।তাঁরা ছদ্মনাম ব্যবহার করেছিলেন।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,পাঁচ জন অপহরণকারী একে অপরকে‘চিফ’, ‘ডক্টর’, ‘বার্গার’,‘ভোলা’এবং‘শঙ্কর’বলে সম্বোধন করছিল।বিজয় বর্মা,নাসিরুদ্দিন শাহ,পঙ্কজ কপূর অভিনীত সিরিজ়টির পরিচালক অনুভব সিংহ।