নীল চট্টোপাধ্যায়
গেরুয়া শিবির থেকে ডাক এসেছিল নীলের। সভা, মিছিল, মিটিং-এ অংশগ্রহণ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সে প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন টেলি অভিনেতা। তবে কি তৃণমূলে নাম লিখিয়েছেন? নাকি সংযুক্ত মোর্চা? কোনও না কোনও দলে যোগদান না করলে এমন পোস্ট দেবেন কেন! ‘ভোটের রেজাল্টের আগেই আমি পাওয়ারে’। তবে কোন ক্ষমতায় নীল?
বিষয়টা যেমন দেখতে, আদপে তেমন নয়। আসলে ‘পাওয়া’ শব্দ নিয়ে একটু খেলা করেছেন ‘সৌদামিনীর সংসার’ ধারাবাহিকের ‘লোকু’। ‘পাওয়ার’ অর্থে তিনি ‘ক্ষমতা’ বোঝাতে চাননি। চোখের পাওয়ারের কথা বলতে চেয়েছেন নীল চট্টোপাধ্যায়।
নীল আনন্দবাজার ডিজিটালকে জানালেন, ‘‘চোখে পাওয়ার বেড়েছে। আগেও ছিল। ৭-৮ বছর ধরে চশমা না পরে পরে এই অবস্থা করেছি নিজের। আমার কাকা চক্ষু রোগ বিশেষ়জ্ঞ। তাঁর কড়া নির্দেশ, ছ’মাস টানা চশমা পরতে হবে।’’ শ্যুট করছেন কী ভাবে? দেখতে অসুবিধা হচ্ছে না? আপাতত কন্ট্যাক্ট লেন্স পরা নিষেধ নীলের। শ্যুটের সময়ে চশমা খুলে ফেলছেন। তবে দৃষ্টির সমস্যা হচ্ছে না। কিন্তু ফোন বা টেলিভিশনে চোখ রাখলেই মাথা ধরে যাচ্ছে তাঁর।
ক্যাপশনে বিধানসভা নির্বাচনের ইঙ্গিত দিলেন কেন অভিনেতা? রাজনীতিতে যোগ দিতে চলেছেন নাকি? অভিনেতার স্পষ্ট জবাব, ‘‘আমি রাজনীতি বুঝি না। কোনও উৎসাহও নেই। খেলাধুলো আর অভিনয়, এই আমার জীবন। ও-দিকে পা বাড়াতে চাই না।’’ তাই বিজেপি-র তরফে আসা প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন বামপন্থী বাড়ির ছেলে নীল চট্টোপাধ্যায়। যাঁর কাছ থেকে (সেই পরিচালকের নাম নিতে রাজি নন নীল) প্রস্তাব এসেছিল, তাঁকে বলেছিলেন, ‘‘আমাকে নিয়ে কোনও লাভ হবে না আপনাদের। আমি দলীয় রাজনীতিতে উৎসাহী নই।’’