সিদ্ধার্থ পিঠানি।
গ্রেফতারের সপ্তাহ খানেকের মাথায় সুশান্ত সিংহ রাজপুতের বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানিকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ। সুশান্তের মৃত্যুর তদন্তে নেমে গত ২৮ মে মাদক যোগে তাঁকে হায়দরাবাদ থেকে গ্রেফতার করেছিল নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)। এর পরে সেখানকার স্থানীয় আদালতের অনুমতিতে মুম্বই নিয়ে আসা হয় সিদ্ধার্থকে।
সুশান্তের মৃত্যুর পর থেকেই সিবিআই এবং এনসিবি-র আতসকাচের তলায় ছিলেন সিদ্ধার্থ। অভিনেতার সঙ্গে একই ফ্ল্যাটে থাকতেন তিনি। গত বছর তদন্ত চলাকালীন তাঁকে ডেকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি। এ বার সিদ্ধার্থের বিরুদ্ধে ‘নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস’ ওরফে এনডিপিএস আইনের একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিনেতার মৃত্যুবার্ষিকীর আগে নতুন করে গতি পেয়েছে তাঁর মৃত্যু তদন্ত। সিদ্ধার্থকে গ্রেফতারের এক দিনের মধ্যেই সুশান্তের ২ পরিচারক নীরজ এবং কেশবকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠায় এনসিবি। এ ছাড়াও মুম্বইয়ের বান্দ্রা অঞ্চল থেকে হরিশ খান নামে এক মাদক বিক্রেতাকে গ্রেফতার করে তারা। সুশান্তকে মাদক সরবরাহে হরিশের ভূমিকা ছিল বলে অনুমান এনসিবি-র।
দিন কয়েক আগেই সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রয়াত অভিনেতার পরিবারের আইনজীবী বিকাশ সিংহ জানিয়েছেন, অনেক দিন আগেই সিদ্ধার্থকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত ছিল। কারণ, সিদ্ধার্থই নাকি প্রথম লোক দিয়ে তালা ভাঙিয়ে সুশান্তের ঘরে ঢুকে তাঁর মৃতদেহ নীচে নামিয়েছিলেন। এই তদন্তে তাঁর বয়ান খুব জরুরি।