নওয়াজু়দ্দিন সিদ্দিকি। —ফাইল চিত্র
প্রতিষ্ঠিত তারকাদের জন্য এক রকম খাতির, আর অনামী, নবীন শিল্পীদের জন্য অন্য রকম— ইন্ডাস্ট্রিতে এই দস্তুর বহু কালের।
কেরিয়ারের শুরুর দিকে এই বৈষম্যের মুখোমুখি হতে হয়েছে নওয়াজু়দ্দিন সিদ্দিকিকেও। ‘গ্যাংস অফ ওয়াসিপুর’-এ নিজের প্রতিভা চেনানোর আগে বেশ কিছু ছবিতে ছোট ছোট চরিত্রে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এখন তিনি তারকার সম্মান, স্বীকৃতি পেলেও সেই দিনগুলোর কথাও ভুলতে পারেন না।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, যখন তিনি ততটা পরিচিত মুখ ছিলেন না, নানা ধরনের দুর্ব্যবহারের মুখোমুখি হতে হয়েছে ছবির সেটে। সইতে হয়েছে অপমান।
নওয়াজ় জানান, জল চেয়েছিলেন এক বার এক জন স্পটবয়ের কাছে, তিনি পাত্তাই দেননি। আবার, ছবির সেটে খাওয়াদাওয়ার সময় নামকরা শিল্পী আর অচেনা মুখেদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা দেখেছেন। নওয়াজ়ের কথায়, “আমায় কেউ পাত্তা দিত না। আমার মতো শিল্পীদের জন্য আলাদা জায়গা ছিল। আলাদা খাবার। তারকাদের জন্য অন্যত্র এলাহি আয়োজন।”
এর পরই হাসতে হাসতে নওয়াজ় বলেন, “কখনও কখনও চেষ্টা করেছি নায়ক-নায়িকাদের সঙ্গে বসে খেতে। চলে গিয়েছিলাম তাঁদের খাওয়ার জায়গায়। কিন্তু কলার ধরে বার করে দেওয়া হয়েছে আমায়।”
অভিনেতার মানে লেগেছে, রেগে গিয়েছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে নিজেকে প্রমাণ করার তাগিদও তৈরি হয়েছিল ভিতরে ভিতরে।
অবশ্য সব প্রোডাকশন হাউসেই এমন বৈষম্য দেখেননি নওয়াজ়। জানান যশরাজ ফিল্মসে নামী-অনামী সব অভিনেতাকেই সমান চোখে দেখা হয়, একসঙ্গে বসেই খাওয়াদাওয়া করেন সকলে।
নওয়াজ় কিছু কিছু কাজ করে প্রাপ্য পারিশ্রমিক পাননি, এমনও হয়েছে। স্পষ্ট জানান, রাম গোপাল বর্মা পরিচালিত ‘জঙ্গল’ (২০০০) ছবিতে অভিনয় করেছেন অথচ টাকাপয়সা কিছুই দেওয়া হয়নি তাঁকে। ছবির নায়ক ছিলেন ফরদিন খান। তবে, নওয়াজ় ওই কাজের সময় প্রযোজনা সংস্থার অফিসে গিয়ে দু-তিন মাস প্রচুর খাওয়াদাওয়া করেছেন বলে জানান। ‘শূল’ ছবিতে কাজ করেও পারিশ্রমিক পাননি নওয়াজ়।
এই সব অপমান, প্রত্যাখ্যান সয়েই নওয়াজ় আজ বলিউডের অন্যতম খ্যাতিমান অভিনেতা। এখন তিনি তারকাখ্যাতি পান।
‘জোগিরা সা রা রা’ ছবিতে নেহা শর্মার সঙ্গে শেষ বার দেখা গিয়েছে অভিনেতাকে। সদ্য মুক্তি পাওয়া সে ছবি অবশ্য বক্স অফিসে সে ভাবে ইনিংস খেলতে পারেনি।