(বাঁ দিকে ) সলমন খান। গ্রেফতার হওয়া দুই আততায়ী (ডান দিকে)। সংগৃহীত।
বলিউডে একচেটিয়া রাজত্ব সলমন খানের। নিখুঁত নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে থাকেন। একাধিক বার তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছেন জেলবন্দি গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই। ১৪ এপ্রিল সলমনের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালায় বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যেরা।
যে দু’জন গুলি চালিয়েছিল, তারা ধরা পড়ে পুলিশের হাতে। গুজরাতের ভূজে সাগর পাল ও ভিকি গুপ্তকে গ্রেফতার করা হয়। গোটা ঘটনার দায় স্বীকার করে নিয়েছে কুখ্যাত এই বিষ্ণোই গ্যাং। ঘটনার পরেই মুম্বইয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে জোরকদমে। এ বার আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল তদন্ত। সূত্রের খবর, দুই বন্দুকবাজকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (এনআইএ) তরফে।
মুম্বই অপরাধ দমন শাখার খবর অনুযায়ী, সনু সুভাষ চান্দের ও অনুজ থাপান নামে দুই ব্যক্তি বন্দুকবাজদের অস্ত্র চালান করেছিলেন। তারাও ধারাবাহিক ভাবে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িত বলে জানা গিয়েছে।
বন্দুকবাজদের বয়ান অনুযায়ী, দশ রাউন্ড গুলি চালানোর নির্দেশ পেয়েছিল তারা। তার পরে সুরাতের তাপী নদীতে বন্দুক ফেলে দেয় তারা। জানা গিয়েছে, এর মধ্যেই তাপী নদী থেকে একটি বন্দুক ও কিছু কার্তুজ উদ্ধার করেছে মুম্বই অপরাধ দমন শাখা। অন্য বন্দুকটির খোঁজ চলছে জোরকদমে।
হামলার ঘটনার পর থেকেই কড়া নিরাপত্তায় রয়েছেন বলিউডের ‘ভাইজান’। প্রায় সারা ক্ষণই ওয়াই ক্যাটেগরির নিরাপত্তার মধ্যে রয়েছেন তিনি। উদ্বেগে সলমনের পরিবার-সহ তাঁর অনুরাগীরাও। খবর মিলেছে, গুলিকাণ্ডের পর নাকি বান্দ্রার ফ্ল্যাট ছেড়ে পানভেলের কাছে নিজের খামারবাড়িতেই পাকাপাকি ভাবে থাকার ব্যবস্থা করেছেন অভিনেতা।