উৎপলেন্দু চক্রবর্তী। ছবি: আনন্দবাজার আর্কাইভ।
জাতীয় পুরস্কারজয়ী পরিচালক উৎপলেন্দু চক্রবর্তীকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। সূত্রের খবর, সম্প্রতি রিজেন্ট পার্কের বাড়িতে পড়ে গিয়ে তাঁর কোমরের হাড় ভাঙে। মঙ্গলবার উৎপলেন্দুকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এই মুহূর্তে চিকিৎসকেরা ছিয়াত্তর বছর বয়সি পরিচালককে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। সূত্রের খবর, উৎপলেন্দু তাঁর শারীরিক অসুস্থতার খবর অনুরাগীদের জানাতে ইচ্ছুক।
উৎপলেন্দুর দীর্ঘ দিনের সহকারী অর্ঘ্য মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘স্যরের প্রস্টেটের সমস্যা রয়েছে। বৃহস্পতিবার ক্যাথিটার খোলা হয়। শুক্রবার হাঁটতে গিয়ে বাড়িতে পড়ে যান।’’ এর পর বাড়িতেই ছিলেন উৎপলেন্দু। কিন্তু শনিবার থেকে তাঁর স্মৃতিভ্রম শুরু হয়। অর্ঘ্য বলেন, ‘‘শনিবার থেকেই ওঁকে হাসতাপালে ভর্তি করানোর চেষ্টা করি। বেড পাওয়া যাচ্ছিল না, তাই দেরি হল।’’
আশির দশকে ‘ময়নাতদন্ত’, ‘চোখ’, ‘দেবশিশু’র মতো একাধিক চর্চিত ছবির পরিচালক উৎপলেন্দু। ১৯৮২ সালে ‘চোখ’ ছবিটি সেরা চলচ্চিত্রের জাতীয় পুরস্কার জিতে নেয়। উৎপলেন্দুর ঝুলিতে আসে সেরা পরিচালকের জাতীয় পুরস্কার। ‘চোখ’ ছবিটির পোস্টার এঁকে দিয়েছিলেন সত্যজিৎ রায়। এ ছাড়াও উৎপলেন্দুর ঝুলিতে রয়েছে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার, এনএফডিসি-র স্বর্ণপদক। হাসপাতালেরও বিছানাতেও নিজের ছবি এবং অতীত স্মৃতি মনে পড়ছে পরিচালকের।
উৎপলেন্দুর স্ত্রী পরিচালক শতরূপা সান্যাল। তাঁদের দুই মেয়ে ঋতাভরী চক্রবর্তী ও চিত্রাঙ্গদা শতরূপা টলিপাড়ার প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী। তবে দীর্ঘ দিন আগে প্রাক্তন স্বামীর বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ এনে আলাদা থাকতে শুরু করেন শতরূপা। উৎপলেন্দুর সঙ্গে তাঁর পরিবারের সদস্যদের কোনও যোগাযোগ নেই। এই মুহূর্তে টলিপাড়ার একাংশ বর্ষীয়ান পরিচালকের দ্রুত আরোগ্যের আশায় রয়েছে।