করিনা কপূর খানের সঙ্গে তৈমুর আলি খান। ছবি: সংগৃহীত।
শিশু বয়স থেকেই তারকার খ্যাতি পেয়েছে সইফ-করিনা পুত্র তৈমুর আলি খান। জন্মের পর থেকেই তার দিকে ক্যামেরা তাক করে থাকতেন ছবিশিকারিরা। সইফ-করিনার সঙ্গে তৈমুর বেরিয়ে এক বার মুচকি হাসলে বা হাত নাড়লে, সেটাই ছবিশিকারিরা ক্যামেরাবন্দি করতেন। ভিডিয়োগুলি ভাইরালও হত মুহূর্তে। তবে শুধু সইফ আলি খান বা করিনা কপূর খান নয়। ন্যানি ললিতা ডিসিলভার সঙ্গেও তৈমুরকে দেখা যেত । তাকে কোলে আগলে রাখতেন ললিতাকে। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বললেন তৈমুরের ন্যানি।
ললিতা জানান, তৈমুরের নিরাপত্তা নিয়ে নাকি তিনি খুব চিন্তায় থাকতেন। ছোট্ট তৈমুরকে দেখলেই নাকি মানুষ ও ছবিশিকারিরা এতই উত্তেজিত হয়ে এগিয়ে আসতেন, তখন বুঝে উঠতে পারতেন না কী করা উচিত। এমনও হয়েছে, একরত্তির পিছু নিয়েছে মানুষ। ললিতা বলেন, “আমায় বাধ্য হয়ে বলতে হত, তৈমুর একটা বাচ্চা। ওর পিছু নেবেন না।”
এমন ঘটনাও ঘটেছে, তৈমুরকে দেখে নিজেদের বাচ্চাদের ছেড়ে মায়েরা এগিয়ে এসেছেন। তাঁদেরকে ললিতা বলেছিলেন, “আমি জানি তৈমুর খুব মিষ্টি। ওর বাবা মা-ও খুব সুন্দর। কিন্তু দয়া করে নিজেদের বাচ্চার খেয়াল রাখুন। নিজের সন্তানের ছবি তুলুন।” এই সব ঘটনা দেখেই সব সময় তৈমুরের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবতেন তিনি। ললিতা বলেন, “আমি বাচ্চাটার নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তায় থাকতাম। মাথায় থাকত, যা-ই হয়ে যাক, এ সবের থেকে ওকে দূরে রাখতে হবে।”
শুধু তৈমুর নয়। করিনার ছোট ছেলে জেহ-র দেখভালেরও দায়িত্ব ছিল ললিতারই। সম্প্রতি একটি পোস্টে তিনি জানিয়েছে, শৈশবে অনন্ত অম্বানীও তাঁরই সাহচর্যে বড় হয়েছে।