Mumtaz

কী করে পঁচাত্তরেও সৌন্দর্য ধরে রেখেছেন মুমতাজ? কতটা ছুরি-কাঁচির জাদু, জানালেন সত্যিটা

অভিনয়ে ফিরবেন কি মুমতাজ? এখনই বলতে পারছেন না। তবে বাঁচিয়ে রেখেছেন যৌবন। কখন কী কাজে লাগে, বলা যায়!

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৫:৩৩
Share:

অভিনয়ে ফিরতে স্বামী ময়ূর মাধবনীর অনুমতি পাওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান মুমতাজ। ফাইল চিত্র।

সৌন্দর্যে তাঁর জুড়ি মেলা ভার। বলিউডের বর্ষীয়সী অভিনেত্রী মুমতাজকে এখনও মনে রেখেছেন দর্শক। অনুরাগীদের চোখে এখনও তিনি সুন্দর। এই সৌন্দর্য কি প্রাকৃতিক? জানতে চেয়েছেন অনেকেই। রহস্য উন্মোচন করে মুমতাজ স্বীকার করলেন কৃত্রিম উপায় রূপ ধরে রাখার কথা। জানালেন, ফিলার্সের সাহায্য নিয়েছেন মাঝেমধ্যে, কিন্তু বোটক্স করাননি কখনও।

Advertisement

বলিউডে মুমতাজ পা রাখেন ‘সোনে কি চিড়িয়া’ ছবি দিয়ে। অতীতে ফিরে গিয়ে মুমতাজ জানান, নায়িকারা তাঁর অনুরাগী ছিলেন না। তখন তিনি সতেরো বছরের কিশোরী। সত্তরের দশকে রাজেশ খন্নার সঙ্গে তাঁর জুটি খুব জনপ্রিয় হয়েছিল। একসঙ্গে অনেকগুলি ছবি করেন তাঁরা। এর পর দীর্ঘ তেরো বছরের বিরতি নেন তিনি। ১৯৯০-তে ‘আঁধিয়া’ ছবির মাধ্যমে তিনি আবার ফিরে আসেন পর্দায়।

পঁচাত্তর বছর বয়সি অভিনেত্রী বলেন, “মনে পড়ে, দেবানন্দ আমাকে বলেছিলেন চুল আর শরীরের যত্ন নিতে। তাঁর পরামর্শ ছিল, আমাদের সব সময়ে যৌবন ধরে রাখার চেষ্টা করতে হবে।”

Advertisement

দেবানন্দ বলেছিলেন, “বয়স একটা সংখ্যা মাত্র।’’ মুমতাজকে যদি দেখতে ভাল লাগে, তা হলে নব্বইতেও পুরুষবন্ধু থাকতে পারে তাঁর। এর প্রমাণস্বরূপ দেব আনন্দ দরজা খুলে দেখান, তিন জন মহিলা তাঁর জন্য অপেক্ষা করছেন। অন্য একটি ঘরে দু’জন তাঁর সঙ্গে ‘ডেট’ করবেন বলে বসে আছেন। মুমতাজ বলেন, “মনে রাখবেন, তিনি তখন আশি।”

মুমতাজ আরও বলেন, “আমি দেব আনন্দের উপদেশ মেনে চলেছি। অক্ষয় কুমারের কথাও মানি যে, সন্ধে ছ’টার পর কিছু খাওয়া উচিত নয়।” অভিনেত্রী জানান, “কখনও খুব সরু দেখালে ফিলারের সাহায্য নিয়েছি, কিন্তু বোটক্স করাইনি কখনও।” তাঁর মতে, বোটক্স করলে মনে হয় কেউ যেন দু’গালে বীজ পুঁতে দিয়েছে!

সম্প্রতি অভিনেতা ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে ইন্ডিয়ান আইডল-১৩-এর একটি পর্বে অতিথি হয়ে এসেছিলেন মুমতাজ।

অভিনয়ে ফেরার বিষয়ে নিশ্চিত নন তিনি। তাঁর হৃদয় ছোঁবে, এমন চরিত্র পাবেন কি না, জানেন না। অভিনয়ে ফিরতে স্বামী ময়ূর মাধবনীর অনুমতি পাওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান মুমতাজ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement