অতিমারি কাটিয়ে মঞ্চে ফিরছে ফিরোজ আব্বাসের জাঁকজমক ভরা নাটক ‘মুঘল-ই-আজম’।
ঝলমলে প্রাসাদকক্ষ। নাচঘরে ঝুমঝুম। ওস্তাদের গায়কী। ঝলমলে সাজে বাঈজিদের আবেদনে সুরমা পরা সভাসদরা আবার ফিরবেন নবাবের দরবারে। ছবিটা বড্ড চেনা। এত দিন শুধু দূরে সরে ছিল। তবেসুখবর। অতিমারি কাটিয়ে মঞ্চে ফিরছে ফিরোজ আব্বাসের জাঁকজমক ভরা নাটক ‘মুঘল-ই-আজম’।
দর্শকের হৃদয়ে কে আসিফের কালজয়ী মিউজিক্যাল ছবি ‘মুঘল-ই-আজম’-র রেশ ধরে রাখতে এই নাটক বেঁধেছিলেন বলিউডের নাট্যপরিচালক। এ পর্যন্ত ৬০টিরও বেশি শো চলেছে দেশ-বিদেশে। তবে অতিমারির কারণে দু’বছর ছেদ পড়েছিল। দর্শকের অনুরোধে আবারও সেই শিল্পকীর্তি ফেরানো হচ্ছে।
২১ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে ‘মুঘল-ই-আজম: দ্য মিউজিক্যাল’-এর চৌদ্দটি শো হবে।
আগামী ২১ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে ‘মুঘল-ই-আজম: দ্য মিউজিক্যাল’-এর চৌদ্দটি শো হবে। স্থান বাল গন্ধর্ব রং মন্দির, বান্দ্রা পশ্চিম, মুম্বই।
পরিচালক ফিরোজ বলেছেন, “এই দু’বছরে আমাদের দেশের জনসাধারণ অনেক কিছুর মধ্য দিয়ে গিয়েছে। খারাপ সময় পিছনে ফেলে আমরা অবশেষে আবার গান, কবিতা এবং জাদুকথার উদ্যাপন করতে চলেছি। আমি মনে করি ‘মুঘল-ই-আজম: দ্য মিউজিক্যাল’-এর জন্য মুম্বইতে ফিরে আসার উপযুক্ত সময় এটিই। আমাদের ১৮তম সিজন শুরু করব।”
এই নাটকের সৃজনশীল এবং কৌশলগত দিকগুলি পরিচালনা করেন দীপেশ সালগিয়া। তাঁর কথায়, “১৯৫০ সালে ‘মুঘল-ই-আজম’-এ কে আসিফের সঙ্গে কাজ করেছিলেন শাপুরজি পালোনজি। এখন ফিরোজ আব্বাস খানের সঙ্গে কাজ করেছেন। প্রতি সিজনে মিউজিক্যাল নাটকটি একটু একটু করে বড় হয়েছে, সমৃদ্ধ হয়েছে। মহাকাব্যিক প্রেমকাহিনিতে আরও অনেক পরত পড়ছে। অতিমারি পরবর্তী সময় মুম্বই থেকে শুরু হচ্ছে নতুন যাত্রা।”
কলাকুশলী যখন মঞ্চে ওঠেন, দর্শকের চোখ ধাঁধিয়ে যায়। আবহ, সঙ্গীত, অভিনয় তো আছেই, সেই সঙ্গে বিশেষ ভাবে নজর কাড়ে পোশাকের জৌলুস।
নাটকে পোশাকের দায়িত্বে রয়েছেন সেলিব্রিটি ডিজাইনার মণীশ মলহোত্র। জানা যায়, থিয়েটারের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রযোজনা।