সেই ছবির পোস্টার।
সাক্ষী নয়, প্রিয়ঙ্কাই ছিলেন ক্রিকেটার মহেন্দ্র সিংহ ধোনির প্রথম প্রেম!
বিহারের দ্বারভাঙার মেয়ে প্রিয়ঙ্কা ঝাকে বিয়ে করবেন বলেও ঠিক করেছিলেন ধোনি। কিন্তু দুর্ঘটনায় মারা যান প্রিয়ঙ্কা। প্রেমিকার এমন পরিণতিতে নিজেকে একেবারে খোলসের মধ্যে গুটিয়ে নিয়েছিলেন এমএসডি। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাচ্ছে ধোনির বায়েপিক—‘এম এস ধোনি-দ্য আনটোল্ড স্টোরি’। সেখানেই তাঁর জীবনের নানা ঘটনা এ ভাবেই উঠে এসেছে। প্রিয়ঙ্কার জন্য কার্যত পাগল ছিলেন ধোনি। আজও দ্বারভাঙায় রয়েছেন প্রিয়ঙ্কার পরিবার। তবে এ সব নিয়ে তাঁরা একেবারেই নীরব।
সিনেমায় দেখা যাবে, কুড়ি বছরের ধোনি সবে ক্রিকেটে নিজের নাম করেছেন। সে সময়ে রাঁচি থেকেই ছ’জন উইকেটরক্ষক উঠে আসছিলেন। ধোনির স্বপ্ন ছিল ভারতীয় দলে জায়গা পাওয়া। প্রিয়ঙ্কা তাঁকে উৎসাহ জোগাতেন প্রতি মুহূর্তেই। শেষ পর্যন্ত পাঁচ জনকে টপকে ভারতীয় দলে জায়গা করে নেন ধোনি। ২০০৩-২০০৪ সালে জিম্বাবোয়ে ও কেনিয়া সফরের জন্য বাছা হয় তাঁকে। কেনিয়াতে ত্রিদেশীয় সিরিজে দুর্দান্ত খেলেন তিনি। পাকিস্তানের ২২৩ রানের বিরুদ্ধে নেমে ধোনির অর্ধ-শতরান সকলের প্রশংসা কুড়োয়। এর পরে ওই সিরিজে শতরানও করেন তিনি। ছ’টি ইনিংসে ধোনির ৩৬২ রান ক্রিকেট-মহলে ঝড় তোলে। তার পরের ঘটনাক্রম তো ইতিহাস।
সেই ত্রিদেশীয় খেলার সময়েই দুর্ঘটনায় পড়েন প্রিয়ঙ্কা। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগে মারা যান তিনি। সফরেই খবর পান ধোনি। ফিরে এসে নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি। খেলা ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছিলেন। এক বছর কার্যত কারও সঙ্গে কথা বলতেন না। একা একা থাকতেন। অনেকেই তাঁকে খেলার মধ্যেই প্রিয়ঙ্কাকে খুঁজে নিতে বলেন। অনেক পরে নিজেকে গুছিয়ে নিয়ে ক্রিকেটেই মন দেন ভারতীয় ক্রিকেটের সর্বকালের সেরা এই অধিনায়ক—ক্যাপ্টেন কুল। ক্রিকেটের সমস্ত ট্রফিই তাঁর অধিনায়কত্বে পেয়েছে দেশ। ছবিতে ধোনির চরিত্রে অভিনয় করেছেন বিহারের ছেলে সুশান্ত সিংহ রাজপুত। আর প্রিয়ঙ্কার চরিত্রে দেখা যাবে অভিনেত্রী দিশা পাটানিকে।
সিনেমা তৈরির আগে দ্বারভাঙায় এসেছিলেন পরিচালক, ‘কলকাতার ছেলে’ নীরজ পাণ্ডে। দিলীপ ঝায়ের সঙ্গে মিলে ধোনির বায়োপিকের গল্প লিখেছেন নীরজ। প্রিয়ঙ্কার পরিবারের সঙ্গে কথা বলার পরে চরিত্রের জন্য দিশা পাটনিকে বেছেছেন নীরজ। তবে গোটা বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলপ এঁটে রয়েছেন নীরজ এবং তাঁর টিমের সদস্যরা। নীরজের টিমের অন্যতম সদস্য আদিত্য বলেন, ‘‘একটি কোম্পানির সঙ্গে সিনেমা নিয়ে আমাদের চুক্তি রয়েছে। এ নিয়ে যা তথ্য দেওয়ার তাঁরাই দেবে। আমি কিছু বলতে পারব না।’’ চুপ রয়েছেন প্রিয়ঙ্কার পরিবারের সদস্যরাও। ছবি মুক্তি পেলেই তাঁরা এ নিয়ে যা বলার বলবেন বলে জানিয়েছেন। দু’তরফেই টানটান উত্তেজনা। সকলেই ‘ক্ল্যাইম্যাক্স’-এর অপেক্ষায়।