ব্যবসায়ী সমিতির নতুন হাটের উদ্বোধন করেন নুসরত জাহান
যশ দাশগুপ্ত বিজেপিতে। খবর ছড়াতেই জোর জল্পনা শুরু টলিউডের অন্দরে। রাজনৈতিক মহলেও। এবার কি যশের হাত ধরে বিরোধী শিবিরে দেখা যাবে ‘বান্ধবী’ নুসরত জাহানকেও? পরস্পরের বিরোধী দলে অবস্থান বন্ধুত্বে ছাপ ফেলবে কিনা তাই নিয়েও যথেষ্ট মাথাব্যথা ছিল অনুরাগীদের।
নেটমাধ্যমে ঘুরপাক খাওয়া সমস্ত কৌতূহলের উত্তর অজানাই থেকে গিয়েছে। কারণ, এই নিয়ে একটাও শব্দ খরচ করেননি সাংসদ-তারকা।
সবাই যখন প্রায় ধরেই নিয়েছেন নুসরতের দলবদল শুধুই সময়ের অপেক্ষা, তখনই কথায় নয় কাজে উত্তর দিলেন তিনি। সাংসদের ইনস্টাগ্রাম স্টোরি বলছে, তিনি শনিবাসরীয় দিন কাটিয়েছেন বসিরহাটে। বসিরহাট কলেজে নতুন সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করতে দেখা যায় বসিরহাটের সাংসদকে। পাশাপাশি, ওই এলাকারই পুরাতন বাজারের অডিটোরিয়াম হল, ব্যবসায়ী সমিতির নতুন হাটের উদ্বোধন করেন তিনি।
নুসরতের সঙ্গে উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন বসিরহাট দক্ষিণের বিধায়ক দীপেন্দু বিশ্বাস, শমীক রায় অধিকারী, বাদল মিত্র সহ শাসকদলের বহু সমর্থক, নেতা। এ দিন বিকেলে তিনি টুইটারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে প্রচার সারেন। আসন্ন নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রীর নতুন প্রচারাভিযান ‘বাংলা নিজের মেয়েকে চায়’-এর হয়ে ক্যাপশনে লেখেন, ‘তিনি তৃণমূল স্তর থেকে উঠে আসা নেত্রী। তাঁর প্রতিশ্রুতি তাঁর বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রমাণ করে। তিনি দেশের সংবিধানের প্রকৃত ধারক ও বাহক। তিনিই বাংলা সংস্কৃতি-ঐতিহ্যের প্রকৃত রক্ষক'।
খবর, নুসরতের এই পদক্ষেপ অনেকটাই স্বস্তি এনে দিয়েছে দলীয় কর্মীদের মনে। ‘দিদি’র আদরের দুই ‘অভিনেত্রী মেয়ে’র একজন যে দিদিকে ছেড়ে যাননি, তার প্রমাণ পেতেই চওড়া হাসি শাসক শিবিরে। বিজেপিতে যোগদানের পর যশ যদিও জানিয়েছিলেন, মতাদর্শ আলাদা হতেই পারে। তবে তার ছায়া কোনও দিনই তাঁদের বন্ধুত্বে ফাটল ধরাবে না।