অভিষেকের সঙ্গে সত্যিই কি সম্পর্ক ছিল জাহ্নবী কপূর নামের মডেল-অভিনেত্রীর? — ফাইল চিত্র।
২০০৭ সালের ২০ এপ্রিল। ঐশ্বর্যা রাইয়ের সঙ্গে অভিষেক বচ্চনের বিয়ে। সানাই বাজছে সকাল থেকে। বচ্চন পরিবারে এলাহি আয়োজন। ব্যস্ততার মাঝে হঠাৎ শোরগোল। বিয়ের দিন সকাল সকাল বচ্চনদের বাড়িতে এসে হাজির হলেন জাহ্নবী কপূর নামের এক মডেল-অভিনেত্রী। অভিষেকের সঙ্গে তাঁর নাকি আগেই বিয়ে হয়ে গিয়েছে, এমনই জানান তিনি। জাহ্নবীর দাবি, ঐশ্বর্যা অভিষেককে তাঁর কাছ থেকে চুরি করে নিয়েছেন। সবাই তো শুনে থ! সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরাও ভিড় জমিয়েছিলেন তাঁকে ঘিরে।
জুহু পুলিশ স্টেশনেও অভিষেকের বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করেছিলেন জাহ্নবী। যদিও অভিষেক যে তাঁর স্বামী, এ বিষয়ে কোনও তথ্যপ্রমাণ না-থাকায় বেশি দূর লড়াই করতে পারেননি তিনি, কোনও কেসও নথিভুক্ত করতে পারেননি।
অমিতাভ-পুত্রের সঙ্গে ‘দশ’ ছবিতে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল জাহ্নবীকে। অভিনেত্রীর দাবি ছিল, সিনেমার সেটেই কাছাকাছি আসেন তাঁরা। অভিষেক তাঁর প্রেমিক ছিলেন। ঐশ্বর্যাকে বিয়ে করে অভিষেক জাহ্নবীকে ঠকিয়েছেন বলেও দাবি করেন।
অমিতাভ বচ্চনের বাংলোর সামনে হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যা করারও চেষ্টা করেছিলেন অভিনেত্রী। যদিও এই ঘটনার পরে তাঁকে আর অভিষেকের বাড়ির কাছে দেখা যায়নি।
এই ঘটনার কোনও প্রভাব অবশ্য অভিষেক-ঐশ্বর্যার বৈবাহিক জীবনে পড়েনি।
১৯৯৯ সালে ‘হম দিল দে চুকে সনম’-এর সেটে প্রথম দেখা হয়েছিল সলমন-ঐশ্বর্যার। কিছু দিনের মধ্যেই পরস্পরকে ডেট করতে শুরু করেন তাঁরা।
২০০২ সালে তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে যায়, তৈরি হয় বিতর্কও। ২০০৭ সালে অভিষেক প্রেমপ্রস্তাব দেন তাঁকে। ওই বছরই বচ্চন পরিবারের বধূ হয়ে আসেন ঐশ্বর্যা।
২০ এপ্রিল বিবাহিত জীবনের ষোলো বছর পূর্ণ করলেন অভিষেক এবং ঐশ্বর্যা। প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বর্যা কিছু দিন আগে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, কী ভাবে হঠাৎ করেই অভিষেকের কাছ থেকে প্রেমের প্রস্তাব পেয়েছিলেন তিনি, অল্প সময়ের মধ্যেই কী ভাবে বিয়ে হয়ে গিয়েছিল তাঁদের! বিয়ের অঙ্গ হিসাবে যে ‘রোকা’ অনুষ্ঠানটি হয়, সে সম্পর্কে তিনি কিছুই জানতেন না ঐশ্বর্যা, কারণ তিনি দক্ষিণ ভারতীয়। অনুষ্ঠানটি হয়েছিল তাঁর বাবার অনুপস্থিতিতে।