—ফাইল চিত্র।
উত্তর কলকাতার আরও একটি প্রেক্ষাগৃহের পর্দা নেমে গেল।
১৯৩০ সালে ‘চিত্রা’ নামে যে সিনেমা হলের সূচনা হয়েছিল, ১৯৬৩ সালে তারই নাম বদলে হয়েছিল মিত্রা। সেই প্রেক্ষাগৃহের শেষ সিনেমাটি ছিল ‘কেসরী’। শনিবার রাত দশটার শো ভাঙার পরেই বন্ধ হয়ে যায় হলটি।
এক সময়ে হাতিবাগান অঞ্চলে অসংখ্য প্রেক্ষাগৃহ ছিল। একে একে বন্ধ হয়ে গিয়েছে সে সব। কোথাও তার জায়গায় মাথা তুলেছে শপিং মল, কোথাও বা আবাসন। ‘সিনেমা পাড়া’ নামে খ্যাত হাতিবাগানের সেই ঐতিহ্য ধরে রেখেছিল তিনটি প্রেক্ষাগৃহ, মিত্রা, মিনার, টকিশো হাউস। স্থানীয়দের মতে, এগুলির মধ্যে রমরমিয়ে চলছিল এক মাত্র মিত্রাই। বছর খানেক আগেও সিনেমা হলটি নতুন করে সাজিয়ে তুলেছিলেন কর্তৃপক্ষ। তা সত্ত্বেও হলটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিস্মিত সাধারণ মানুষ।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
মালিক দীপেন্দ্রকৃষ্ণ মিত্র অবশ্য এ জন্য নিজের অসুস্থতার কথাই বলছেন। অকৃতদার দীপেন্দ্রবাবুর ব্যাখ্যা, ‘‘আমার পঁচাত্তর বছর বয়স। বিভিন্ন অসুস্থতায় ভুগছি। আমার একার পক্ষে এত কিছু সামলানো সম্ভব হচ্ছিল না। অথচ পরিবারের আর কেউ এই দায়িত্ব নিতে চাইলেন না। তাই এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি।’’