১১ বছর পরে পরিচালক সুমন ঘোষের সঙ্গে জুটি, কাবুলিওয়ালার চরিত্রে ফিরছেন মিঠুন চক্রবর্তী। ফাইল চিত্র।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সৃষ্ট কাবুলিওয়ালা চরিত্রটির সঙ্গে বাঙালির জড়িয়ে থাকা নস্টালজিয়াকে নতুন করে মনে করিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। সময়ের সঙ্গে কাবুলিওয়ালা ওরফে রহমত খানের চরিত্রে পা গলিয়েছেন অনেকেই। তপন সিংহের চোখে কাবুলিওয়ালা ছিলেন ছবি বিশ্বাস। হিন্দিতে দর্শক এই বৈগ্রহিক চরিত্রে পেয়েছেন বলরাজ সাহানি এবং হালে ড্যানি ডেনজংপাকে। সময়ের সঙ্গে অভিনেতা বদলালেও বদলায়নি কাবুলিওয়ালার চিরকালীন আবেদন।
সব ঠিক থাকলে, এ বার মিঠুন চক্রবর্তীকে দর্শক কাবুলিওয়ালার চরিত্রে দেখতে চলেছেন। সম্প্রতি, কলকাতায় এসে মিঠুন নিজেই এই ছবি নিয়ে কিছু তথ্য খোলসা করেছেন। ছবিটি পরিচালনা করবেন সুমন ঘোষ। প্রযোজক এসভিএফ। উল্লেখ্য, এর আগে ২০১২ সালে ‘নোবেল চোর’ ছবিতে সুমনের পরিচালনায় অভিনয় করেছিলেন মিঠুন। সে দিক থেকে প্রায় ১১ বছর পর আবার পরিচালকের সঙ্গে জুটি বাঁধতে চলেছেন ‘ডিস্কো ড্যান্সার’-এর অভিনেতা।
ইন্ডাস্ট্রির একটি সূত্র বলছে, এসভিএফ-এর তরফে প্রযোজক শ্রীকান্ত মোহতা এবং মহেন্দ্র সোনি দীর্ঘ দিন ধরেই মিঠুনের সঙ্গে কাজ করতে চাইছিলেন। এসভিএফ প্রযোজিত ‘রকি’ ছবিতে বিশেষ চরিত্রে ছিলেন মিঠুন। এই ছবির মাধ্যমেই টলিপাড়ায় পা রাখেন মিঠুন-পুত্র মিমো।
তবে, এই ছবিতে মিনি বা অন্যান্য চরিত্রে কারা অভিনয় করবেন তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। ছবির শিরোনাম নিয়েও চলছে আলোচনা। মূল গল্পকে নাকি সমকালীন সময়ের প্রেক্ষাপটে সাজিয়েছেন পরিচালক। শোনা যাচ্ছে, কলকাতা ছাড়াও লাদাখে ছবির শুটিংয়ের পরিকল্পনা করা হয়েছে। তার থেকেও বড় খবর, খোদ কাবুলিওয়ালার দেশ আফগানিস্তানেও ছবির কিছু অংশের শুটিং হতে পারে। সাম্প্রতিক অতীতে আফগানিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কথা বিচার করে প্রয়োজনীয় অনুমতির জন্য এখন থেকেই তোড়জোড় শুরু করেছেন নির্মাতারা।
হালে ‘প্রজাপতি’ ছবিতে মিঠুনের অভিনয় দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছিল। সূত্রের খবর, তার পর থেকেই বাংলা থেকে ‘মহাগুরু’র কাছে ছবির প্রস্তাবও বেশি আসছে। কিন্তু মিঠুন চিত্রনাট্য পছন্দ না হলে রাজি হওয়ার পাত্র নন। তবে, এবার শ্রীকান্ত মোহতার অনুরোধ তিনি ফেলতে পারেননি, দিয়েছেন সম্মতি। ফলে আবার নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত মিঠুন। এখন কাবুলিওয়ালার ভূমিকায় বড় পর্দায় তিনি কী কী চমক হাজির করেন তা দেখার অপেক্ষা।