Mithun Chakraborty

‘আমি রাক্ষস’, হাসপাতাল থেকে বেরিয়েই বেশি না খাওয়ার পরামর্শ মিঠুনের, সঙ্গে রাজনৈতিক বার্তাও

সোমবার দুপুরে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন অভিনেতা তথা বিজেপি সাংসদ মিঠুন চক্রবর্তী। জানালেন, তিনি ‘রাক্ষস’। সেটাই তাঁর সমস্যার কারণ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৪:৪৫
Share:

মিঠুন চক্রবর্তী। — ফাইল চিত্র।

হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন মিঠুন চক্রবর্তী। সোমবার দুপুরে তিনি কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে মিঠুন জানান, তিনি একেবারেই সুস্থ রয়েছেন। এখন কোনও সমস্যা নেই। সমস্যা কী কারণে হয়েছিল, তারও উল্লেখ করেছেন তিনি। একই সঙ্গে জানিয়েছেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির হয়ে পুরোদস্তুর প্রচার করবেন।

Advertisement

গত শনিবার সকালে আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন মিঠুন। সোমবার ছাড়া পেয়ে হাসপাতালের বাইরে দাঁড়িয়ে মিঠুন বললেন, ‘‘এখন কোনও সমস্যা নেই। সমস্যা খাওয়াতে। আমি গোগ্রাসে খাই।’’ এর পর ডায়াবিটিস রোগীদেরও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘যাঁদের ডায়াবিটিস রয়েছে, ভাববেন না মিষ্টি না খেলে কিছু হবে না। খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করুন।’’ নিজের সমস্যার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘‘আমার সমস্যা, বেশি খেয়েছি। আমি রাক্ষস। বকা খেলাম।’’ তবে এখন তিনি পুরোপুরি সুস্থ, সে কথাও জানিয়েছেন।

‘দিল্লিবাড়ির লড়াই’তে তাঁকে প্রচারের ময়দানে পাওয়া যাবে বলেও সোমবার জানিয়েছেন মিঠুন। তাঁর কথায়, ‘‘১ তারিখ থেকে লাগাতার প্রচার। বিজেপির হয়েই করব। আমি আর কোন পার্টি করি! আমাদের রাজ্যের বাইরে অন্য রাজ্যে যদি ডাকে সেখানেও যাব।’’ সন্দেশখালি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘সময় এসেছে, মানুষের জেগে ওঠা উচিত। যা হচ্ছে, মানা যায় না।’’ দেব তাঁকে হাসপাতালে দেখতে এসেছিলেন। তবে রাজনৈতিক বিষয়ে আলোচনা হয়নি। ‘প্রজাপতি’ ছবির সহ-অভিনেতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘দেব এসেছিল আমার সঙ্গে দেখা করতে। আমি রাজনৈতিক কোনও কথা বলি না। খুব বুদ্ধিমান ছেলে দেব। ভাল ছেলে। তবে রাজনৈতিক ভাবে মন্তব্য করব না।’’

Advertisement

মিঠুন হাসপাতালে থাকাকালীন ফোন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর কুশল সংবাদ নিয়েছিলেন। সেই প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ মিঠুন বলেন, ‘‘দারুণ শ্রদ্ধা করি প্রধানমন্ত্রীকে।’’ সোমবার সন্দেশখালি রওনা হতেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীদের আটকায় পুলিশ। শুভেন্দু জানিয়ে দেন, তিনি জাতীয় সড়কে বসে থাকবেন। এই প্রসঙ্গে মিঠুন বলেন, ‘‘শুভেন্দুকে আটকে কী হবে? ও ভেঙে বেরিয়ে যাবে। ও খুব শক্তিশালী নেতা। আটকে কোনও লাভ নেই।’’ কবে থেকে শুটিংয়ে ফিরবেন, সে কথাও জানিয়েছেন মিঠুন। তাঁর কথায়, ‘‘শুটিং করব ১৯ তারিখ (ফেব্রুয়ারি) থেকে। দুটো দিন ক্ষতি হয়ে গেল। আমি কাল থেকেও কাজ করতে পারি, এটা আমার ইচ্ছা।’’

শনিবার সকালে আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়া মিঠুনকে ভর্তি করানো হয় কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালেয় শনিবার হাসপাতালের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে মিঠুনকে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁর ডান হাত এবং পায়ে দুর্বলতা রয়েছে। মস্তিষ্কে এমআরআই-সহ বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হয়েছে। এখন তিনি সজ্ঞানে রয়েছেন। খাচ্ছেন নরম খাবার। নিউরোলজি, কার্ডিয়োলজি এবং গ্যাস্ট্রোএনট্রোলজি বিভাগের চিকিৎসকদের নিয়ে একটি মেডিক্যাল দল গঠন করা হয়েছে। সেই মেডিক্যাল দলের কড়া পর্যবেক্ষণে রয়েছেন মিঠুন। তবে মিঠুনকে কবে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হবে, সেই নিয়ে স্পষ্ট করে হাসপাতালের তরফে কিছু জানানো হয়েছিল না। সোমবার তাঁকে মুক্তি দেওয়া হল।

অভিনেতা সোহম চক্রবর্তীর প্রযোজনায় ‘শাস্ত্রী’ ছবির শুটিং চলছিল। তখনই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান তৃণমূলের বিধায়ক-অভিনেতা সোহম। গত বছর মিঠুন অভিনীত ছবি ‘কাবুলিওয়ালা’ মুক্তি পেয়েছে। সেই ছবি প্রশংসা পেয়েছে দর্শক মহলে। এ বার সদ্য নতুন একটি ছবির কাজে হাত দিয়েছেন। তার মধ্যেই ঘটে গেল এই বিপত্তি। শনিবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে আবার তাঁকে দেখতে যান সোহম। যদিও মিঠুনের পুত্রবধূ মাদলসা শর্মা দাবি করেন, তিনি সুস্থ রয়েছেন। স্ট্রোকের খবর ভুয়ো বলে দাবি করেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement