বলিউডে ভিনগ্রহী নিয়ে আগেও ছবি হয়েছে, তবে সে ভাবে দর্শকের মন কাড়তে পারেনি কোনওটাই। জাদু যেটা পেরেছে। বলিউডের প্রথম হিট ভিনগ্রহী ছবি ‘কোই মিল গ্যায়া’। তবে জানেন কি এই হিট ছবিতে একাধিক ভুল ছিল! বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সেগুলো হাস্যকর। একটু ভাল করে দেখলেই যা চোখে পড়ে। ভুলগুলো কী? দেখে নিন
ছবির একটা দৃশ্য রয়েছে যখন ৬ জন বাচ্চার দল প্রথমবারের জন্য জাদুকে দেখে। সেই দলে কিন্তু হান্সিকা মোতয়ানি ছিল না। পরে গানের সময় হান্সিকা চলে আসে।
নিশা (প্রীতি জিন্টা) বন্ধুদের সঙ্গে পরিচয় করাতে প্রথমবার ক্লাবে নিয়ে যান রোহিত (হৃতিক)-কে। সেই সময় রোহিত নীল রঙের চেক কাটা হাফ-স্লিভ শার্ট পরেছিলেন। কিন্তু এর পরের দৃশ্যেই দেখা যায় বৃষ্টির মধ্যে নীল শার্টের নীচে অফ হোয়াইট রঙের টি-শার্ট পরে গান করছেন দু’জনে।
বিভিন্ন দৈর্ঘ্যের শব্দ তরঙ্গ মহাকাশে পাঠানো— পুরো ফিল্ম তৈরি হয়েছে এর উপর ভিত্তি করেই। কিন্তু সত্যিটা হল শব্দ মহাশূন্যে যেতেই পারে না। তাই ভিনগ্রহীদের কাছে সিগন্যাল পৌঁছনও সম্ভব নয়।
রোহিতের ভিনগ্রহী বন্ধু জাদু সূর্যের আলো থেকে শক্তি নেয়। তার অর্থ ঠান্ডা সহ্য করতে পারে না। কিন্তু ছবির একটা দৃশ্যে তাকে দেখা গিয়েছে কোল্ড ড্রিঙ্কস খেতে।
ফিল্মে প্রথম যখন রোহিতের বাবা বিজ্ঞানী সঞ্জয় ভিনগ্রহীদের যান দেখতে পান, তিনি একটি গাড়িতে ছিলেন। সে সময় একটা দুর্ঘটনাও ঘটে এবং গাড়ি উল্টে তাঁর মৃত্যু হয়। ছবির স্টোরি লাইন অনুযায়ী গাড়ি দুর্ঘটনা ঘটেছিল কানাডায়। কিন্তু গাড়ির নম্বর প্লেট ইউরোপ বা এশিয়ার মতো দেখতে ছিল।
এই ফিল্মে হৃতিকের চুলের রংও একাধিকবার বদলে যেতে দেখা গিয়েছে। কোথাও তাঁর চুল লালচে রঙের, কোথাও কালো।
রোহিত আর তাঁর বাচ্চা দলের সঙ্গে বাস্কেট বল ম্যাচ চলছে। গ্যালারিতে বসে নিশা। আর জাদুকে একটা বস্তার মধ্যে লুকিয়ে রাখা হয়েছে কাছেই। জাদুর শক্তিতেই উড়ে উড়ে বাস্কেট বল খেলছেন হৃতিকরা। বস্তাবন্দি জাদু যখন নিশার পাশে, তখন নিশার পিছনেই বসে ইন্দ্রবদন পুরোহিত, অর্থাত্ আসল জাদু। এটা কী ভাবে পরিচালকের চোখ এড়িয়ে গেল?
আরও একটা গোল রয়েছে এই বাস্কেট বল ম্যাচের সময়। বাস্কেটে বল ঢোকাতে পারলে ২ পয়েন্ট। রোহিতদের দলের স্কোর ২ পয়েন্ট করেই এগোচ্ছিল প্রতি গোলে। কিন্তু একটা জায়গায় রোহিতদের স্কোর যখন ২০, প্রতিপক্ষের ৪৯ স্কোর দেখানো হয় স্কোর টেবিলে। কী ভাবে সম্ভব?
ছবির একটা দৃশ্যে দেখানো হয়েছে, রোহিত রাতে ক্লাবে ঢুকে একাই বাস্কেট বল প্রাকটিস করছেন। তার পর সেখানে নিশার বন্ধুরা আসেন এবং রোহিতকে মারধর করতে শুরু করেন। তাতে রোহিতের চশমা মেঝেয় পড়ে যায়। তারপর চশমা হাতে তুলেও নেন রোহিত।
কিন্তু এই সময়ের মাঝে অন্তত তিনবার মেঝে পড়ে থাকা চশমার পজিশন বদলে ফেলেন পরিচালক। কখনও চশমাটা সোজাভাবে পড়ে ছিল, তার পরই আবার দেখা যায় চশমাটা উল্টে রয়েছে, আর ঠিক তার পরই আবার নিজে থেকেই সোজা হয়ে যায় চশমাটা!
এই ফিল্মের সিকুয়েল ছিল ‘কৃষ’। রোহিতের ছেলে কৃষের ভূমিকাতেও হৃত্বিকই ছিলেন। কিন্তু প্রশ্নটা হল, ‘কৃষে’ দেখানো হয়েছে নিশা সন্তানসম্ভবা হওয়ার দু’বছর আগে থেকে নাসিরুদ্দিনের হাতে বন্দি ছিলেন রোহিত। কৃষ জন্মানোর আগে দু’বছর ধরে নিশার সঙ্গে থাকেননি রোহিত, তা সত্ত্বেও রোহিতের সন্তান কী ভাবে জন্ম নিল!