বিমান থেকে সটান ঝাঁপ দিলেন টম। সকলকে বড়দিন আর নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানাতেও ভুললেন না অভিনেতা। ছবি: সংগৃহীত।
৬০ বছর বয়সে মহাকাশচারী হওয়া টম ক্রুজ়ের কাছে যে কোনও ব্যাপার নয়, সে নিয়ে নিশ্চিত ছিলেন নির্মাতারা। মহাকাশেই জোরদার শুটিং চলছে ‘মিশন: ইম্পসিব্ল-ডেড রেকনিং’ ছবির। রোদ ঝলমলে নীল আকাশ এখন টমের কাছে বাড়ির মতো। এমনিতেই নিত্যনতুন কারসাজি দেখান অভিনেতা। গতকাল, রবিবাসরীয় ফুরফুরে সকালে বিমান থেকে সটান ঝাঁপ দিলেন টম। সকলকে বড়দিন আর নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে যেতে ভুললেন না।
সেই ভিডিয়ো দেখে শুরুতে আঁতকে উঠলেও মজা পেয়েছেন অনুরাগীরা। নায়ককে তো তাঁরা চেনেনই। তাঁর অভিধানে ‘অসম্ভব’ বলে যে কিছুই নেই।
টমের ভাগ করে নেওয়া ভিডিয়োটির উপরে অবশ্য লেখা ছিল, বিশেষ বার্তা দিতে চান তিনি। চালাতেই বোঝা গেল, দর্শককে আন্তরিক ধন্যবাদ দিতেই বছর শেষে এমন কাণ্ড করলেন। টমকে ঝাঁপ দেওয়ার আগে বলতে শোনা যায়, “প্রেক্ষাগৃহে এসে ছবিটি দেখার জন্য আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ। কৃতজ্ঞতা না জানিয়ে বছর শেষ করতে চাই না।” টম অভিনীত সদ্য হিট ছবি ‘টপ গান: ম্যাভেরিক’-এর জনপ্রিয়তা প্রসঙ্গেই এ কথা, তা বুঝতে অসুবিধা হয় না কারও। নায়ককে ভালবাসায় ভরিয়ে দেন অনুরাগীরা।
এর পরই টম জানান, বিনোদন দিতে থাকবেন তিনি। শুটিংয়ের মাঝে যে রয়েছেন তা-ও বোঝা যায় বিমানে বসে থাকা ‘মিশন ইম্পসিব্ল’ ছবির পরিচালক ক্রিস্টোফার ম্যাকারির কথায়। তিনিও টমের সঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়তে চান। কিন্তু ভিডিয়ো শেষ হয়ে যায় আগেই। সবাইকে নিরাপদে সপ্তাহ কাটানোর শুভেচ্ছা জানিয়ে নিজে ঝাঁপ দেন অভিনেতা।
‘মিশন: ইম্পসিব্ল-ডেড রেকনিং’ ছবির প্রথম এবং দ্বিতীয় ভাগের শুটিং চলছে। পরিচালক জানান, আগেই পরিকল্পনা পাকা ছিল। ছবিটি স্টুডিয়োতে নয়, মহাকাশেই তৈরি হবে। স্পেস স্টেশন সেখানে বড় ভূমিকা নেবে। যদিও অতিমারি সব ভেস্তে দেয়। কাজ শুরু হয় চলতি বছরে।
উচ্চাভিলাষী টমের কেরিয়ারেও এটি দুর্দান্ত পদক্ষেপ। তিনিই প্রথম অভিনেতা যিনি মহাকাশে পাড়ি দিয়েছেন। আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে পৌঁছে অভিনয় করেছেন। ছবি মুক্তি পাবে ২০২৩ সালের ১৪ জুলাই।