শ্রীজাত এবং মিশকা
প্রতি দিন শ্রীজাত-র ‘মানবজমিন’ ঘিরে উন্মাদনার পারদ চড়ছে। সৃজিত মুখোপাধ্যায়, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, প্রিয়াঙ্কা সরকার, পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর ছবির অভিনেতা তালিকায় নব্য সংযোজন মিশকা হালিম। আনন্দবাজার অনলাইনকে মিশকা জানিয়েছেন, ‘‘শ্রীজাতর প্রথম ছবিতে আমি ডাক পেলাম। নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে। এত দিন তাঁর কবিতা প্রিয় ছিল। আশা, এ বার ছবিতে সেই কাব্যিক অনুভূতির স্বাদ পাব আমরা।’’ পাশাপাশি পরিচালক জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে মিশকার এটা প্রথম কাজ নয়। কৌশিক সেনের নাট্যদল ‘স্বপ্নসন্ধানী’র জন্য নাটক ‘কর্কটক্রান্তির দেশ’ লিখেছিলেন শ্রীজাত। সেখানে মিশকা গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।
মঞ্চ, ছোট পর্দা, বড় পর্দা সবেতেই সফল মিশকা। ছোট পর্দার ‘মহানায়ক’ ধারাবাহিক তাঁকে ঘরে ঘরে পরিচিতি দিয়েছে। ঝুলিতে রয়েছে ‘বোধিসত্ত্ব’, ‘বাবার নাম গান্ধিজি’, ‘চোলাই’, ‘ক্ষত’-র মতো ছবি। প্রযোজক রানা সরকারের আগামী ছবিতে অভিনেত্রীকে কোন ভূমিকায় দেখা যাবে? মিশকা জানিয়েছেন, তিনি ‘মানবজমিন’-এ চিকিৎসকের ভূমিকায় অভিনয় করছেন। দাবি, ‘‘এই প্রথম কোথাও আমায় চিকিৎসকের চরিত্রে দেখা যাবে। স্বাভাবিক ভাবেই আমি খুব খুশি। আশা করছি, শ্রীজাত-র কলমের আঁচড়ে এই চরিত্রেও শৈল্পিক মাধুর্য ছড়িয়ে পড়বে।’’ টলিউডের একাধিক তারকা এই ছবিতে থাকছেন। চাপা ভয় হৃদস্পন্দন বাড়িয়ে দিচ্ছে? মিশকার মতে, অনেক দিন পরে ভাল কাজের ডাক আসলে মনের মধ্যে আলাদা উত্তেজনা তৈরি হয়। আপাতত সেটিই তিনি অনুভব করছেন।
মিশকার চরিত্রের গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে শ্রীজাতর বক্তব্য, ‘‘মানবজমিন-এর গল্প এগিয়ে নিয়ে যেতে মিশকাকে সত্যিই দরকার ছিল। হয়তো অন্যদের তুলনায় ছোট চরিত্র। কিন্তু এই চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে এমন এক অভিনেত্রীকে দরকার ছিল যিনি শুধু অভিব্যক্তি দিয়ে অনেক কিছু বোঝাতে পারেন।’’