Babul Supriyo

Mir Afsar Ali-Babul Supriyo: তখন বাবুল ‘সুপ্রিয়’ পরেছিলেন কালো জামা, ‘রংবেরঙের’ সেই দিনগুলির স্মৃতিচারণ মীরের

পোস্ট করার ২৫ মিনিটের মধ্যে প্রায় ১০ হাজার মানুষ ‘লাইক’ করলেন সেই ছবিতে। মন্তব্য বাক্সে মন্তব্যের সংখ্যাও ৫০০ ছুঁই ছুঁই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৯:৪১
Share:

দুই পুরনো বন্ধু মীর এবং বাবুল এক ফ্রেমে

‘অনেককককক দিন আগের কথা’ বললেন মীর আফসার আলি। যখন বাবুল সুপ্রিয় ‘সবার প্রিয় ছিলেন’, তখনকার কথা মনে পড়ছে অভিনেতা-সঞ্চালক-রেডিয়ো জকি মীর আফসার আলির। দু’জনের পুরনো ছবিও পোস্ট করলেন। এতই পুরনো ছবি যে এক ঝলকে তাঁদের চিনতে গেলে অল্প বেগ পেতে হবে। বাবুলের চুল ছোট করে কাটা, চোখে চশমা নেই, পরনে ফুল ফুল ছাপের কালো শার্ট। অন্য দিকে মীরের চোখে কালো চশমা, পরনে গোলাপি শার্ট, সেটি আবার নীচের দিকে বেঁধে রাখা হয়েছে কায়দা করে, শার্টের কলার তোলা। দুই শিল্পী পাশাপাশি দাঁড়িয়ে। এক হাত দিয়ে মীরকে জড়িয়ে ধরে রয়েছেন বাবুল। তখন বাবুল কেবল অভিনেতা এবং গায়ক। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হননি।

Advertisement

ক্যাপশনে লেখা, ‘সে অনেককককক দিন আগের কথা…, বাবুল তখন সবার প্রিয় ছিলেন…, গল্পের পরবর্তী অংশ ব্রেকের পর….’। পাশে জুড়ে দিয়েছেন ভালবাসার চিহ্ন। নজর কাড়ছে তাঁর দেওয়া হ্যাশট্যাগগুলিও, ‘নস্টালজিয়া’, ‘থ্রোব্যাক’, ‘মেমরিস’, ‘কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স’। ছবি পোস্ট করার দিন এবং ক্যাপশন, এই দু’টির বিশেষত্বেই চমক লাগালেন মীর। আর তাই পোস্ট করার ২৫ মিনিটের মধ্যে প্রায় ১০ হাজার মানুষ ‘লাইক’ করলেন সেই ছবিতে। মন্তব্য বাক্সে মন্তব্যের সংখ্যাও ৫০০ ছুঁই ছুঁই।

শনিবার দুপুরে ভারত এবং বাংলার রাজনৈতিক ক্ষেত্রে পালাবদল ঘটল। আসানসোলের বিজেপি সাংসদ এবং মোদী সরকারের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনের উপস্থিতিতে তিনি সবুজ শিবিরের পতাকা তুলে নেন।

Advertisement

সে দিনই সন্ধ্যাবেলা মীরের এমন একটি পোস্ট যে নিছক কাকতালীয় নয়, তা যে মশকরার উদ্দেশ্যে, সে কথা বুঝতে পেরেই তোলপাড় পড়ে গিয়েছে ফেসবুকে। এ কথা স্পষ্ট যে, দলবদল করার প্রবণতাকে ঠাট্টা করলেন মীর। শেয়ারের সুবাদে চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছেন তৎকালীন মীর এবং বাবুল। ফেসবুক পোস্টে সেই ছবির সময়কাল উল্লেখ না করলেও ভক্তদের মন্তব্য পড়ে বোঝা গেল, অনেকে মনে করছেন, ছবিটি ১৯৯৯ সালের। যদিও মীরের কাছ থেকে সেই তথ্যে সিলমোহর পড়েনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement