মীর এবং স্বস্তিকা —ফাইল চিত্র।
বোধনে যার শুরু, বিজয়া মানেই কি তার শেষ? শ্রেষ্ঠ উৎসবকে ঘিরে আপামর বাঙালির এ যেন অনন্ত জিজ্ঞাসা।
একই প্রশ্ন উঠে আসতে পারে মানব জীবন নিয়েও। আজ যে আপন, কাল সে পর! হতেই পারে। তার মানেই কি সব শেষ? সম্পর্ক, সম্বন্ধের আর কোনও অস্তিত্ব নেই? দুর্গাপুজোর আবহে থাকা না থাকাটা যেন বেশি করে নজরে আসে উৎসবপ্রিয় বাঙালির। তখনই টান পড়ে শিকড়ে। মণ্ডপে যখন ধুনুচি নাচ কিংবা ঢাকের বোল, কিছু মানুষ হাতড়ে বেড়ায় অতীত স্মৃতি। বারবার পিছু ফিরে দেখে, আত্মজ বা আত্মজা কি ফিরল মাটির টানে?
অলকানন্দা-আনন্দরও একই অবস্থা। সারা বছর তারা কোণঠাসা হয়ে কথার পিঠে কথা বোনে। পুজো এলে অন্ধকার মুখগুলোয় হাজার বাতির আলো। মেয়ে মৃন্ময়ী ফেরে মিজানুরকে সঙ্গে নিয়ে। ভাঙা পরিবার হাতেগোনা কয়েক দিনের জন্য আবার এক। এই যুগে ঘরে ঘরে এটাই তো চিত্র। সেই গল্পই আবার বলতে চলেছেন পরিচালক অভিজিৎ শ্রী দাস। পর্দায় যা ফুটে উঠবে নতুন বাংলা ছবি ‘বিজয়ার পরে’ হয়ে।
যে কোনও পরিচালকের প্রিয় বিষয় মানুষে-মানুষে সম্পর্ক। অভিজিৎ-ও সেই হাতছানি এড়াতে পারেননি। এত দিন বিজ্ঞাপনের কাজ করতে করতে তাঁর মনেও জমেছিল কিছু অস্বস্তি। অনেক না বলার কথা ভিড়। সে সবই উঠে আসতে চলেছে তাঁর প্রথম ছবিতে। একই সঙ্গে সম্ভবত ধর্মের নামে গোঁড়ামি, ভেদাভেদ মুছতেও চান পরিচালক। মৃন্ময়ী-মিজানুর নাম দুটো যে তেমনই ইঙ্গিত দেয়!
অভিজিতের কথায়, ‘‘দুর্গোৎসবের প্রেক্ষাপটে কিছু গুমোট অভিমান, কিছু মনকেমন সামনে আসবে। অলকানন্দা, মৃন্ময়ী, আনন্দর রূপ ধরে। আমাদের প্রথম ছবিতে।’’ প্রযোজনায় এসআর জুপিটার মোশন পিকচার্স। নিবেদনে এসআর জুপিটার ক্রিয়েশন।
ছবিতে চরিত্রদের জীবন্ত করবেন দীপঙ্কর দে, মমতা শঙ্কর, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, মীর আফসর আলি। মীরের কথায়, ‘‘২০১৭-য় আমি আর স্বস্তিকা জুটি বেঁধেছিলাম ‘মাইকেল’ ছবিতে। আবার আমরা বড় পর্দায় এক সঙ্গে ফিরতে চলেছি। পুজোর আবহে তৈরি ছবি। এই প্রথম কাজ করব মমতা শঙ্করের সঙ্গে। সব মিলিয়ে নতুন কাজের জন্য মুখিয়ে আছি।’’
এর পরেই কথার ভাঁজে ছোট্ট মোচড় মীরের, ‘‘বাকি কথা বলব ‘বিজয়ার পরে’!’’