(বাঁ দিকে) ‘আদিপুরুষ’ ছবিতে প্রভাস। তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
প্রথম প্রচার ঝলক প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই বিতর্ক নিত্যসঙ্গী ‘আদিপুরুষ’-এর। বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছিল ছবিতে ‘রাবণ’ চরিত্রের সাজপোশাক নিয়ে। তার পর একাধিক আইনি জটিলতার জালেও পড়তে হয়েছে প্রভাস ও কৃতি শ্যানন অভিনীত ছবিকে। আদালতে একাধিক মামলা চলার ফলে বার বার পিছিয়ে গিয়েছে ওম রাউত পরিচালিত ছবির মুক্তিও। অবশেষে গত ১৬ জুন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ‘আদিপুরুষ’। তার পরেও শেষ হয়নি বিতর্ক। সীতার জন্মস্থান সংক্রান্ত বিভ্রান্তি থেকে শুরু করে হনুমানের সংলাপ— সব নিয়েই অসন্তুষ্ট দর্শক। বিশেষত, হনুমানের মুখে ভাষা শুনে বেশ ক্ষুব্ধ তাঁরা। ছবির সংলাপ সংক্রান্ত বিতর্ক নিয়ে সম্প্রতি মুখ খোলেন লেখক মনোজ মুন্তাসিরও। এমনকি, দর্শকের চাপে পড়ে ছবির সংলাপ বদলের সিদ্ধান্ত নেন ছবির নির্মাতারা। এ বার ‘আদিপুরুষ’-এর সংলাপ বিতর্কে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর।সম্প্রতি ‘আদিপুরুষ’-এর সংলাপ বিতর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, দেশের কোনও দর্শকের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লাগতে দেবেন না তিনি। পাশাপাশি, ছবির সংলাপ যাতে পরিবর্তিত হয়, তা-ও ব্যক্তিগত ভাবে তিনি দেখবেন বলে জানান অনুরাগ। অনুরাগ জানান, ছবির সংলাপ নিয়ে দর্শকের ক্ষোভ সম্পর্কে অবগত সেন্সর বোর্ড। সব দিক বিচার করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দেন তিনি।
‘আদিপুরুষ’ ছবির মুক্তি পর থেকেই ছবির সংলাপ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন দর্শক। এমনকি, ছবির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন হিন্দুত্ববাদী দলও। মুম্বইয়ের নাল্লাসোপারার ক্যাপিটাল হলে ‘আদিপুরুষ’ প্রদর্শনের সময় জোর করে প্রেক্ষাগৃহে ঢুকে পড়েন ‘রাষ্ট্র প্রথম’ দলের কিছু সদস্য। সেখানেই ছবি ও নির্মাতাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া শুরু করেন। পরিস্থিতি সামলাতে না পেরে বন্ধ করতে হয় ছবি প্রদর্শনও। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের সামনে এক সাক্ষাৎকারে ছবির সংলাপ লেখক মনোজ বলেন, ‘‘সনাতন যুগের মহাপুরুষদের আধুনিক যুগের কাছে সুচারু ভাবে তুলে ধরাই আমাদের লক্ষ্য। ‘আদিপুরুষ’ ছবির পাঁচটি সংলাপ নিয়ে দর্শক অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। সেগুলো বদলে দেওয়া হবে। যদি ছবির কিছু অংশ মানুষের পছন্দ না হয়, তার দায় আমাদের। সেই ভুল শুধরানোর দায়ও আমাদেরই।’’