কোন পদক্ষেপ নিতে চলেছেন মিমি? গ্রাফিক : শৌভিক দেবনাথ।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ। তার প্রতিবাদেই রাস্তায় নেমেছেন সর্ব স্তরের মহিলারা। সকলের দাবি একটাই এই ঘটনার ‘বিচার চাই’ । নারীদের চাই নিরাপত্তা ও সুরক্ষা। আরজি কর-কাণ্ডে বিচার চেয়ে ১৪ অগস্ট পথে নেমেছিলেন অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। এক সপ্তাহের মধ্যে সেই মিমিকেই সমাজমাধ্যমে দেওয়া হল সরাসরি ধর্ষণের হুমকি! পরবর্তী পদক্ষেপ কী নিচ্ছেন নায়িকা জানালেন আনন্দবাজার অনলাইনকে।
স্বভাবের দিক থেকে বরাবরই ডাকাবুকো মিমি, স্পষ্টবাদী। নিজের দৃঢ় মত প্রকাশ করেন বিভিন্ন বিষয়ে। আরজি কর-কাণ্ডে বিচার চেয়েও তাই পথে নামেন তিনি। তার পর আসে ধর্ষণের হুমকি। যদিও এই হুমকির নেপথ্যে আছে একটি ঘোষণা। ১৬ অগস্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিহত চিকিৎসকের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের কথা বলেন। যদিও সেই ক্ষতিপূরণ নিতে অস্বীকার করেছেন নির্যাতিতার বাবা-মা। এ বার সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে সমাজমাধ্যমে তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ ও অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীকে সরাসরি ধর্ষণের হুমকি দিলেন এক নেটাগরিক।
মিমি নিজের সমাজমাধ্যমে ওই নেটাগরিকের মন্তব্য়ের প্রতিচ্ছবি ভাগ করে নেন। ওই ব্যক্তি অভিনেত্রীর উদ্দেশে লেখেন,( সমাজমাধ্যমে ওই বাক্তির লেখা অপরিবর্তিত রাখা হল) “আজ যদি এই ঘটনা মিমির সঙ্গে ঘটত তা হলে কী করত? মিমির পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা দিত নাকি? তা হলে মিমিকে আমার ঘরে পাঠিয়ে দেওয়া হলে আমি দিয়ে দেব ১০ লাখ ওঁর পরিবারকে।” এরই সঙ্গে মিমি এবং মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে কিছু অশ্লীল শব্দও ব্যবহার করেন ওই নেটাগরিক। এর পরই আক্ষেপ প্রকাশ করে মিমি লেখেন, ‘‘এর জন্যই কি ন্যায় বিচার চেয়ে লড়ছি আমরা।’’
তবে শুধু আক্ষেপ প্রকাশ করে থেমে থাকার পাত্রী নন তিনি। মিমি বলেন, ‘‘ আমি ইতিমধ্যেই সাইবার অপরাধ দমন শাখায় অভিযোগ জানিয়েছি। শাখার প্রধানের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে। একজন মহিলাকে আক্রমণ করার ভাষাই এখন ধর্ষণের ভাষা। কথায় কথায় ধর্ষণের হুমকি! এর শেষ দেখে আমি ছাড়ব।’’