বুথে মানবিক মিমি চক্রবর্তী। সংগৃহীত চিত্র।
এই হচ্ছেন মিমি চক্রবর্তী। তিনি সাংসদ থাকুন বা না থাকুন, সব সময় দাপটে থাকেন। একই সঙ্গে মানবিকও। যেমন, শনিবার। এ দিন শহর এবং সংলগ্ন এলাকায় চলতি বছরের সপ্তম দফা লোকসভা নির্বাচন হচ্ছে। সকাল থেকে সাধারণ মানুষের সঙ্গে তারকা প্রার্থী, বিনোদন ব্যক্তিত্বদের ঢল। ভোটের আবহে এ দিন সবাই সমান। মিমি চক্রবর্তীকেও তাঁর নির্দিষ্ট এলাকায় বুথে দেখা গিয়েছে সকালেই। ভোট দিয়েই তিনি কিন্তু বেরিয়ে আসেননি। বরং ভোট দেওয়ার আগে এক প্রবীণ নাগরিকের সুষ্ঠু ভাবে ভোট দেওয়ার বন্দোবস্ত করে দিয়েছেন।
মিমি ভোট দিতে কসবার সারদা অ্যাকাডেমিতে উপস্থিত হয়েছিলেন। সেখানে যথারীতি লম্বা লাইন। লাইনের শেষে এক বৃদ্ধ দাঁড়িয়ে। বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা তাঁর পক্ষে কষ্টের। তাঁকে দেখেই বিদায়ী সাংসদ বুঝেছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে কর্তব্যরত ইন্সপেক্টরকে ডাকেন তিনি। অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘‘স্যর, একটু এদিকে আসুন। এখানে এক জন বয়স্ক মানুষ দাঁড়িয়ে। ওঁকে সামনে নিয়ে যান।’’ শুধু বলেই ক্ষান্ত হননি। নিজে তাঁকে জড়িয়ে ধরে এগিয়ে দেন কিছুটা। বৃদ্ধর ভাইঝি সামনে এলে মিমি তাঁকে তাঁর কাকার সঙ্গে থাকার অনুরোধ জানান। অভিনেত্রীর হস্তক্ষেপে এ দিন বৃদ্ধকে আর কষ্ট করে লাইনে দাঁড়াতে হয়নি। তিনি সবার আগে ভোট দেওয়ার সুযোগ পান।
মিমির এই পদক্ষেপ ভাইরাল। প্রশংসিত তাঁর মানবিকতা। অনুরাগীরা নতুন করে উচ্ছ্বসিত তাঁকে নিয়ে। তাঁর মতোই টলিউড তারকারা এ দিন পৌঁছে যান তাঁদের নির্দিষ্ট বুথে। যেমন, রোদ, ভিড় দুইই এড়াতে সকাল সকাল ভোটের লাইনে উপস্থিত হয়েছিলেন ‘মহাগুরু’ মিঠুন চক্রবর্তী। এ দিন সকাল সাতটায় বেলগাছিয়ার ২২ নম্বর ওয়ার্ডে পৌঁছে যান তিনি। ৪০ মিনিট লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেন মিঠুন। বেলা একটু বাড়তেই নুসরত জাহানকে দেখা গিয়েছে তাঁর বাড়ির পাশে, বালিগঞ্জের আব্দুল ওয়াহিদ মেমোরিয়াল স্কুলে। ভোট দিতে এসেছিলেন রাজ চক্রবর্তীও। মাকে হুইলচেয়ারে বসিয়ে বিধায়ক-প্রযোজক-অভিনেতা ভোট দিতে আসেন। সঙ্গী স্ত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, ভাগ্নি সৃষ্টি পাণ্ডে।
বাকিদের মতো মিমিও আজ সাদা সালোয়ারে অনায়াস।