milind soman

Milind-Ranveer: ৩০ বছর ধরে লোকে একই কথা বলছে! রণবীরের নিরাবরণ ছবি নিয়ে মুখ খুললেন মিলিন্দ

রণবীর সিংহ যা করেছেন, বেশ করেছেন। এই সুবাদে দেশের সবার মতামত তো শোনা গেল! মজা পেলেন মিলিন্দ সোমন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০২২ ১৩:২৭
Share:

নীতি পুলিশ হইতে সাবধান?

নিরাবরণ ফটোশ্যুট যতই সাহসী পদক্ষেপ হোক, আইনি ঝামেলায় জড়িয়েছেন রণবীর সিংহ। মহিলাদের অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগে বলিউড অভিনেতার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। যদিও এর বহু আগে এমনই ‘সাহসী’ হয়ে ওঠা মিলিন্দ সোমন বিতর্কটি উপভোগ করছেন বলে জানান। গত ৩০ বছরে যে কিছুই পাল্টায়নি!

Advertisement

১৯৯৫ সালে মধু সাপ্রের সঙ্গে এক বিজ্ঞাপনী শ্যুটে অনাবৃত হয়েছিলেন মিলিন্দ। তিনিও তখন আইনি সমস্যার সম্মুখীন হন। মামলা চলে ১৪ বছর! তবে এক সাক্ষাৎকারে মডেল-অভিনেতার দাবি, এই বিতর্ক আবার যে উঠছে, সেটা এক দিক দিয়ে ভাল। মিলিন্দ বলেন, ‘‘আমি মনে করি বিতর্কটা ভাল। অনেকেই আছেন, যাঁরা রণবীরের ছবিগুলো পছন্দ করেছেন। আর এক দল পছন্দ করেননি। আমি বলছি আমাদের ইতিহাসে মানবজাতি হিসেবে এমন কোনও সময় আসেনি, যেখানে সবাই সব কিছু পছন্দ করেছেন। আপত্তি করার মানুষ রয়েছেন যুগে যুগে। এমনকি যখন খাজুরাহোর মন্দিরে নকশাগুলি খোদাই করা হয়েছিল, তখনও দেখা দিয়েছিল বিক্ষোভ। সমাজে সব সময়েই বহুস্বরের অস্তিত্ব রয়েছে। প্রাচীন কালে শুধু রাজার স্বর, তারপর ধনী ব্যক্তিদের, তারপর সোশ্যালাইটদের স্বর শোনা যেত। কিন্তু এখন প্রত্যেকের কণ্ঠস্বর শুনতে পাওয়া যাচ্ছে। এতেই তো দেশের প্রকৃত চেহারা স্পষ্ট হয়।’’

মিলিন্দের মতে, যতই আলোচনা-বিতর্ক হয়, ততই পরিস্থিতি ভাল হয়ে যায়। ১৯৩০ থেকে ১৯৪০-এর দশক পর্যন্ত আমেরিকায় পুরুষদের নিরাবরণ হওয়া বেআইনি ছিল। যদি এমন কোনও আইন থাকে যা বলে যে রণবীর যা করেছেন তা ভুল, তবে নিশ্চয়ই আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। তবে তিনি মনে করিয়ে দেন, ‘‘১৯৯৫ সালে আমি যখন জুতোর বিজ্ঞাপনটি করেছিলাম, সে সময়ে কোনও সোশ্যাল মিডিয়া ছিল না। তবু শোরগোল উঠেছিল। এখনও উঠছে। মানুষ চিৎকার করে বলবে, আপনি ভুল। অথবা বলবে, দারুণ করেছেন! আপনিই ঠিক। যেন ৩০ বছর ধরে এই পদে কেউ না কেউ রয়েই যাচ্ছেন। আমার মনে হয় এই ব্যাপারটা সব থেকে মজার।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement