রনির উত্থানের কাহিনি রূপকথার মতো। ছবি: সংগৃহীত।
শুরু করেছিলেন প্রায় শূন্য থেকে। এখন প্রযোজক হিসাবে, ব্যবসায়ী হিসাবে প্রতিষ্ঠিত রনি স্ক্রুওয়ালা। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণও তাকলাগানো। রনির উত্থানের কাহিনি রূপকথার মতো।
কেব্ল টেলিভিশনের জনক বলা যায় রনিকে। ১৯৮১ সালে একজন সাধারণ কেব্ল অপারেটর হিসাবে কাজ শুরু করেছিলেন রনি। তবে, তারও আগে ১৯৮০ সালে তিনি ‘লেজার ব্রাশেস’ নামের একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। অল্প দিনের মধ্যেই এটি দেশের সবচেয়ে বড় দাঁতের ব্রাশ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠে।
পরের বছর তিনি ‘নেটওয়ার্ক’ একটি কেবল পরিষেবা প্রতিষ্ঠান তৈরি করেন। মুম্বই-এর বহুতলের বেসমেন্টে ভিডিয়ো মেশিন বসানোর কাজ করত তাঁর সংস্থা। নব্বইয়ের দশকে দূরদর্শন প্রযোজনা সংস্থা হিসাবে রনি ইউটিভি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, তখন তাঁর সম্বল ছিল ৩৭,৫০০ টাকা।
আস্তে আস্তে প্রতিষ্ঠানের প্রচার-প্রসার হয়। তৈরি হয় ছবি প্রযোজনা এবং পরিবেশনা সংস্থা ‘ইউটিভি মোশন পিকচার্স’। অনেক জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ছবির পরিবেশক এই সংস্থা। ‘ রং দে বসন্তী’, ‘স্বদেশ’, ‘হায়দর’, ‘বরফি’-র মতো ছবির পরিবেশনার দায়িত্বে ছিল রনির সংস্থা।
২০১২ সালে ৩ হাজার ৭১২ কোটি টাকার বিনিময়ে ডিজ়নি রনির সংস্থাটি কিনে নেয়। নাম হয় ডিজ়নি ইউটিভি। তখন অবশ্য ২৩ শতাংশ শেয়ার ছিল রনির। ২০১৪ সালে তিনি বেরিয়ে আসেন প্রতিষ্ঠান থেকে। ২০২২ সালে বন্ধ হয়ে যায় প্রতিষ্ঠানটি। এখন রনি আপগার্ড কোম্পানির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারপার্সন। আরও নানা ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করেছেন তিনি। একটি ক্রীড়ামূলক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের মালিক তিনি। আর একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ‘স্বদেশ ফাউন্ডেশন’ও কিনেছেন তিনি।
২০১৪ সালে আবার চলচ্চিত্র ব্যবসায় আসেন রনি। নাম হয় ‘আরএসভিপি মুভিজ়’। সমালোচকদের প্রশংসাধন্য ছবি ‘রাত অকেলি হ্যায়’, ‘মর্দ কো দর্দ নেহি হোতা’-র মতো ছবির প্রযোজক তারা। ভিকি কৌশল অভিনীত ‘উরি: সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ তৈরি হয়েছিল এই সংস্থার ব্যানারেই। বিশ্ব জুড়ে ৩৫০ কোটি টাকারও বেশি ব্যবসা করেছিল এই ছবি।
ভারতীয় মুদ্রায় রনির সম্পত্তির পরিমাণ ১২,৮০০ কোটি টাকা। একবিংশ শতাব্দীর প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তালিকায় ৭৫ জনের মধ্যে নাম আছে রনির। তাঁর মুকুটে নিত্য যুক্ত হচ্ছে সাফল্যের নতুন নতুন পালক।