তিনি চোপড়া পরিবারের সদস্য কি না তা নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে প্রচুর। ক্যামেরার সামনে সরাসরি তাঁকে চেনেন না বলে জানিয়েও দিয়েছেন পরিণীতি চোপড়া।
তা নিয়ে দানা বাঁধা বিতর্কে জল না ঢেলে মুখ বন্ধ রেখেছেন প্রিয়ঙ্কাও। পরিণীতি বা প্রিয়ঙ্কা কিছু বলুন বা নাই বলুন, গর্বের সঙ্গে তিনি নিজেকে চোপড়া পরিবারের সদস্য বলতেই ভালবাসেন।
তিনি প্রিয়ঙ্কার গুণমুগ্ধ তুতো বোন মীরা চোপড়া। অভিনেত্রী পরিণীতি অবশ্য তাঁর কাছে এখনও ‘শিশু’। যাঁর নাকি অভিনয় থেকে পরিবারের সঙ্গে চলাফেরা— এ সব এখনও অনেক কিছুই শেখার বাকি রয়েছে। এমনই দাবি মীরার।
মীরার জন্ম দিল্লিতে। ১৯৮৩ সালে। মূলত দক্ষিণী ছবির নায়িকা তিনি। মডেলিং থেকেই তাঁর অভিনয়ে আসা।
২০০৫ সালের তামিল ছবি ‘আয়ুইরে’ দিয়েই অভিনয়ে হাতেখড়ি তাঁর। ছোটবেলায় তাঁকে বাড়িতে সবাই নীলা বলে ডাকতেন।
এক দিকে যেমন তাঁর তুতো বোন প্রিয়ঙ্কা, পরিণীতি বলিউডে দাপিয়ে অভিনয় করছেন, সেখানে ২০০৫ সাল থেকে অভিনয় শুরু করা মীরা বলিউডে প্রথম সুযোগ পান প্রায় ১০ বছর পর ।
২০১৪ সালের ছবি ‘গ্যাংস অব গোস্ট’। এটাই ছিল মীরার প্রথম বলিউডি ছবি। বিশ্ব জুড়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করা প্রিয়ঙ্কার তুতো বোন মীরার কথা এখনও অনেকেই জানেন না।
প্রিয়ঙ্কার বোন হওয়া সত্ত্বেও কেন তাঁর কেরিয়ার গ্রাফ এত ধীর গতিতে এগোচ্ছে এ কথাও প্রায়ই শুনতে হয় তাঁকে।
মীরা অবশ্য বার বারই বলে আসছেন তাঁর কেরিয়ারে প্রিয়ঙ্কার কোনও প্রভাব নেই। তিনি নিজের দক্ষতায় কাজ পান।
মীরার মুখে প্রিয়ঙ্কার কথা, পরিণীতির কথা প্রায় শোনা গেলেও এই দু’জন কিন্তু মীরাকে নিয়ে খুব একটা বলতে উৎসাহী নন।
প্রিয়ঙ্কা যেখানে প্রায় মুখ বন্ধই রাখেন মীরার প্রসঙ্গে, পরিণীতি সাফ জানিয়ে দেন মীরা তাঁদের পরিবারের সদস্য নন! এক বার এক সাক্ষাৎকারে পরিণীতি জানিয়েছিলেন, মীরা অনেক দূর সম্পর্কের আত্মীয়। তাঁদের মধ্যে দেখা বা কথা হয় না।
কী ভাবে সম্পর্কযুক্ত তাঁরা? মীরার ঠাকুরদা এবং প্রিয়ঙ্কা-পরিণীতির ঠাকুরদা ছিলেন দুই ভাই। সেই সূত্রে মীরার বাবা এবং প্রিয়ঙ্কা-পরিণীতির বাবারা ছিলেন খুড়তুতো ভাই।
দুই বোনের মতো বলিউডে হয়তো সে ভাবে প্রভাব ফেলতে পারেননি মীরা। কিন্তু দক্ষিণী ছবিতে জমিয়ে অভিনয় করে যাচ্ছেন।