দুই বাংলার বিনোদন দুনিয়ায় হঠাৎই আলোচনার শীর্ষে মিথিলা। পুরো নাম, রাফিয়ত রশিদ মিথিলা। শুক্রবার এক ঘরোয়া অনুষ্ঠানে বিয়ে করেছেন সৃজিত আর মিথিলা। ওপার বাংলায় বহু দিন ধরেই বিনোদন দুনিয়ায় পরিচিত নাম মিথিলা। আসুন, পরিচয় করি তাঁর সঙ্গে।
ছোট থেকেই মেধাবী মিথিলা রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। তিনি ব্রাক ইউনিভার্সিটি থেকে দ্বিতীয় স্নাতকোত্তর করেন আর্লি চাইল্ডহুড ডেভলপমেন্ট-এ।
পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি কত্থক, মণিপুরী এবং ভরতনাট্যমের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। নজরুলগীতির সুগায়িকা মিথিলার অন্য শখ হল ছবি আঁকা এবং অভিনয়। শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয়ও করেছেন পিপলস থিয়েটার গ্রুপে।
২০০২ সালে শুরু মডেলিং কেরিয়ার। এরপর বাংলাদেশের বেশ কিছু প্রথম সারির সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার হয়েছেন তিনি।
মডেলিং করতে করতেই আসে অভিনয়ের সুযোগ। মিথিলার অভিনয়ে হাতেখড়ি মিউজিক অ্যালবাম দিয়ে। এরপর টেলিফিল্ম। মিথিলার অভিনীত টেলিফিল্মগুলি বেশ জনপ্রিয় হয়।
অভিনেত্রী-মডেল-গায়িকা মিথিলা একজন সমাজকর্মীও। তিনি ব্রাক ইন্টারন্যাশনাল-এর আর্লি চাইল্ডহুড ডেভলপমেন্ট প্রোগাম-এর প্রধান। গত এগারো বছর ধরে মিথিলা এই বিষয় নিয়ে কাজ করছেন।
এশিয়া ও আফ্রিকার বহু দেশে তিনি শিশুদের উন্নয়ন ও বিকাশ নিয়ে কাজ করেছেন। বাংলাদেশেও তিনি নারী ও শিশু অধিকার আন্দোলনের অন্যতম মুখ।
শিক্ষকতার অভিজ্ঞতাও রয়েছে বাংলাদেশের ছোটপর্দার জনপ্রিয় মুখ মিথিলার। তিনি বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও আমেরিকার স্কুলে শিক্ষকতা করেছেন।
সময় পেলেই বসে পড়েন কলম নিয়ে। সংবাদপত্র ও নিজের ব্লগে নিয়মিত লেখেন তিনি। ছড়া ও কবিতার পাশাপাশি বাচ্চাদের জন্য লেখা মিথিলার বইও বেশ জনপ্রিয়। ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে মিথিলার লেখা দু’টি বই, ‘স্কুলের প্রথম দিন’ এবং ‘লাল বেলুন’।
দু’বছরের প্রেমপর্বের পরে ২০০৬-এর অগস্টে মিথিলা বিয়ে করেন বাংলাদেশের গায়ক-সুরকার তহসান রহমান খানকে। ২০১৩ সালে জন্ম তাঁদের একমাত্র মেয়ে আইরা তেহরিম খানের।
তহসান-মিথিলার এগারো বছরের দাম্পত্য ভেঙে যায় ২০১৭-এ। একটি ফেসবুক পোস্টে দু’জনে বিবাহবিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেন। দু’বছর একা থাকার পরে শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়কে বিয়ে করলেন মিথিলা। শুরু করলেন নতুন জীবন।
বাংলাদেশের বহুল প্রচারিত সংবাদপত্র ‘প্রথম আলো’-য় মিথিলা জানিয়েছেন, অনেক আগে কমন বন্ধুবান্ধবের মাধ্যমে সৃজিতের সঙ্গে তাঁর আলাপ। ব্যক্তিগত সম্পর্ক তাঁরা বরাবর আড়ালেই রাখতে চেয়েছেন।
মিথিলা আরও জানিয়েছেন, শনিবার তিনি আর সৃজিত উড়ে যাচ্ছেন জেনেভা। সেখানে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে মিথিলার পিএইচডি রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। তারপর একটু বেড়ানো। কাজপাগল এই জুটির আপাতত এটাই মধুচন্দ্রিমার পরিকল্পনা।