ক্যামেরার সামনে মীনাক্ষী। ফাইল-চিত্র।
মীনাক্ষী শেষাদ্রিকে আজও ভোলেননি সিনেপ্রেমীরা। কেরিয়ারের মধ্যগগনে থাকাকালীন আচমকা অভিনয় জগৎ থেকে বিদায় নেন মীনাক্ষী। মাঝেমধ্যে ফিল্মি ম্যাগাজিন গুলিতে ফিরে ফিরে আসে মীনাক্ষীর উল্লেখ। এবার ২৭ বছর পর কামব্যাক করলেন ‘দামিনী’ খ্যাত অভিনেত্রী। সম্প্রতি ‘ইন্ডিয়ান আইডল’-এর মঞ্চে দেখা মিলল তৎকালীন এই পয়লা নম্বর নায়িকার। অতিথি হয়ে এসেছিলেন মীনাক্ষী। এক সময় হিন্দি সিনেমার জগতে দাপিয়ে কাজ করেছেন এই অভিনেত্রী। তবে বিয়ের পর সব ছেড়েছুড়ে মার্কিন মুলুকে পাড়ি দেন নায়িকা। সেখানে গিয়ে অভিনেত্রীর পরিচয় ছাড়িয়ে হল তাঁর এক নতুন পরিচয়।
ইন্ডিয়ান আইডলের শনিবারের পর্বে দেখা মিলল তাঁর। সেখানেই তিনি জানান বিদেশে গিয়ে অনুভব করেন, তিনি ভাল রাঁধুনি হতে পেরেছেন। ১৯৯৫ সালে ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কার হরিশ মাইসোরকে বিয়ে করে পাড়ি দেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে যাওয়ার পর নায়িকার অনুভব হল, তিনি কারও স্ত্রী হয়েছেন, কারও মা। মীনাক্ষীর কথায়, ‘‘তার পর থেকে ভাল রাঁধুনি হয়ে গেলাম। আমার মনে হয় দক্ষিণ ভারতীয় নিরামিষ পদ আমি ভাল রান্না করতে পারি।’’ শো-এর বিচারকদের জন্য কয়েক পদ রেঁধেও আনেন মীনাক্ষী। এই দিন অভিনেত্রীর বিখ্যাত সিনেমার আইকনিক গান গুলি গেয়ে তাঁকে সম্মান জানান প্রতিযোগীরা।
মীনাক্ষী শেশাদ্রি অভিনীত ‘জ়ুর্ম’ ছবির যব কোয়ি বাত গানটি গাইলেন বাংলার মেয়ে দেবস্মিতা। এই গানটি এককথায় কালজয়ী, ছবিতে তাঁর ও বিনোদ খান্নার রসয়ান ছিল তারিফ করার মত। যদিও অভিনেত্রী জানান, তিনি নিজের স্বামীর সঙ্গে বসে কখনও এই সিনেমা দেখেননি।
তাঁর করা ছবি গুলি হল ‘দামিনী’, ‘গঙ্গা-যমুনা’, ‘হিরো’, ‘স্বাতী’, ‘দিলওয়ালা’, ‘শেহনশাহ’, ‘ঘর হো তো আয়সা’। ১৯৯৬ সালে ‘ঘাতক’ ছবির পর আরও কোনও ছবিতে দেখা যায়নি মীনাক্ষীকে। ফের ক্যামেরার সামনে এলেন এতগুলো বছর পর। বয়স তাঁর ৫৮ ছুঁইছুঁই, তবে এখনও তাঁর সৌন্দর্যের তারিফ না করে পারছেন না অনুরাগীরা।