যিনি রাঁধেন, তিনি চুলও বাঁধেন। আবার যিনি মডেল হন, তাঁর নামের পাশে ডাক্তারি ডিগ্রিও থাকে। যেমন, অদিতি গোভিত্রিকর। তিনি একমাত্র ভারতীয় সুপারমডেল, যিনি একদিকে চিকিৎসকও বটে। তাঁকে বলা হয়, ‘বিউটি উইথ ব্রেন’।
১৯৭২ সালের ১৪ মে অদিতির জন্ম মহারাষ্ট্রের পানভেলে। বার্নস হাই স্কুলের পরে তাঁর উচ্চশিক্ষা মুম্বইয়ের গ্রান্ট মেডিক্যাল কলেজে। তিনি ১৯৯৭ সালে এমবিবিএস পাশ করেন। এরপর স্ত্রীরোগ ক্ষেত্রে এম এস করতেও শুরু করেন। কিন্তু মডেলিং-এর জন্য এমএস শেষ করতে পারেননি।
১৯৯৬ সালে মেগামডেল কনটেস্টে জয়ী হয়ে তিনি মডেলিং-এর দুনিয়ায় পা রাখেন। পরের বছর এশিয়ান সুপার মডেল কনটেস্টে তিনি ‘বেস্ট বডি’ ও ‘বেস্ট ফেস’ বিভাগে পুরস্কৃত হন।
কায়া স্কিন ক্লিনিক, পন্ডস-এর জন্য মডেলিং করেন অদিতি। হৃতিক রোশনের সঙ্গে তাঁর কোকাকোলা-র বিজ্ঞাপন তুমুল জনপ্রিয় হয়।
মডেলিং-এর হাত ধরেই অদিতির আগমন সিনেমায়। অদিতিকে নায়িকার ভূমিকায় দেখা গিয়েছে বেশ কিছু হিন্দি ও দক্ষিণী ছবিতে। তাঁর ফিল্মোগ্রাফিতে উল্লেখযোগ্য নাম হল ‘পহেলি’, ‘ভেজা ফ্রাই ২’ এবং ‘হাম তুম শাবানা’। কাজ করেছেন টেলিভিশনেও।
পারিবারিক অসম্মতি সত্ত্বেও তিনি বিয়ে করেছিলেন মেডিক্যাল কলেজে তাঁর সিনিয়র মুফজ্জল লড়কাওয়ালাকে। সাত বছর প্রেমপর্বের পরে তাঁদের বিয়ে ১৯৯৮ সালে। ধর্মান্তরিত অদিতির নতুন নাম হয় সারা লড়কাওয়ালা।
১৯৯৯ সালে জন্ম হয় তাঁদের প্রথম সন্তান কিয়ারার। ২০০৭ সালে জন্ম হয় ছেলে জিহানের। ২০০৯ সালে ডিভোর্স হয়ে যায় অদিতি এবং মুফজ্জলের।
বিচ্ছেদের কারণ নিয়ে স্বামী-স্ত্রী কেউ মুখ খোলেননি। খাতায়কলমে বিচ্ছেদের আগেই মুফজ্জল অস্ট্রেলিয়া চলে যান। অদিতি সন্তানদের নিয়ে চলে গিয়েছিলেন বাবা-মায়ের কাছে।
ডিভোর্সের পরে অদিতি নিজেকে ডুবিয়ে দেন কাজের মধ্যে। ফিরে আসেন ডাক্তারি পেশাতেও। দুই সন্তানের কাস্টডি তিনিই পান।
বিচ্ছেদের পরে অদিতি বিয়ে না করলেও মুফজ্জল দ্বিতীয় বিয়ে করেন ২০১১ সালে। গোয়ায় তিনি বিয়ে করেন প্রিয়ঙ্কা কাউলকে।
অদিতির বোন আরজুও মেধাবী। তিনি একজন ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার। দিদির মতো তিনিও পরে অভিনয় জগতে আসেন। অভিনয় করেন ‘বাগবন’, ‘মেরে বাপ পহলে আপ’-সহ কিছু ছবি ও টিভি সিরিয়ালে। (ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া)