রহমান-প্রসূন-রিমেক গানের দৃশ্য
বলিউডে গত দু’-তিন বছর ধরে রিমেক গানের ট্রেন্ড জাঁকিয়ে বসেছে। আশি-নব্বই দশকের পাশাপাশি, বছর দশেকের পুরনো গানেরও রিমেক হচ্ছে। বাজারে চাহিদা আছে বলেই গানগুলির রিমেক হচ্ছে। তবে তাদের গুণগত মান নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। যেমন, সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে প্রসূন জোশীর লেখা এবং এ আর রহমানের কম্পোজ়িশনে ‘দিল্লি সিক্স’ ছবির গান ‘মসক্কলির’ রিমেক। অরিজিনাল গানটি গেয়েছিলেন মোহিত চৌহান। তনিষ্ক বাগচীর রিমেক ভার্সনটি গেয়েছেন তুলসী কুমার। গানে পারফর্ম করেছেন ‘মরজাঁওয়া’ ছবির জুটি সিদ্ধার্থ মলহোত্র এবং তারা সুতারিয়া। রিমেক গানটি নিয়ে বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন গানের অরিজিনাল কম্পোজ়ার ও গীতিকার।
টুইটারে একটি দীর্ঘ পোস্টে রহমান লিখেছেন, ‘‘কোনও শর্টকাট নেই। ৩৬৫ দিন ধরে মাথা খাটিয়ে সুর বার করা হয়, যা কয়েক প্রজন্ম মনে রাখবে। দুশো জন মিউজ়িশিয়ান একসঙ্গে বসে বাজান। লেখা হয়, মনমতো না হলে আবার লেখা হয়। কত বিনিদ্র রজনী কাটে একটি কম্পোজ়িশনের পিছনে... এর পরে পরিচালক, অভিনেতা, ক্রুয়ের পরিশ্রমও থাকে...’’ টুইটারে সংযত ভাষায় লিখলেও ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে ভিতরের উষ্মা বার করে দিয়েছেন রহমান। সেখানে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘‘যে নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, সে-ই শক্তিশালী।’’
আবার প্রসূন তাঁর টুইটারে লিখেছেন, ‘‘এই রিমেক গানটি অরিজিনাল গানের গীতিকার, মিউজ়িশিয়ান, গায়ক... সকলেরই সংবেদনশীলতায় আঘাত করেছে।’’ তাঁর শ্রোতাদের অরিজিনাল গানের পাশে দাঁড়াতে আবেদন জানিয়েছেন প্রসূন। কিছু দিন আগে ‘দস বাহানে’ গানটির রিমেক নিয়েও অরিজিনাল কম্পোজ়ার বিশাল-শেখরের সঙ্গে প্রযোজক সাজিদ নাদিয়াদওয়ালার বিরোধ বাধে। পরে বিশাল-শেখরই রিমেক গানটি কম্পোজ় করেন।