নীনা গুপ্তকে মা হিসাবে পেয়ে গর্বিত মাসাবা
বয়স যখন ১২, ব্রণতে মুখ ঢেকে গিয়েছিল মাসাবা গুপ্তর। তাঁর নিজের কথায়, হঠাৎ দেখলে মনে হত যেন মুখে কেউ সিগারেটের ছ্যাঁকা দিয়েছে! ১৪ বছর বয়স অবধি নিজের মুখের দিকে তাকাতে পারতেন না লজ্জায়। আয়না দেখা ছেড়ে দিয়েছিলেন। সেই ভয়ঙ্কর দিনগুলির কথা মনে পড়লে আজও শিউরে ওঠেন মাসাবা। প্রায়ই বলেন, ‘‘সেই বেচারি মেয়েটাকে কী বলবেন? ১২ বছর বয়সেই যে নিজের মুখকে ঘৃণা করতে শিখেছিল!’’ তবে সব সময়ে পাশে ছিলেন মা নীনা গুপ্ত। একা মা হয়ে মেয়েকে বড় করেছেন রানির মতো। মাসাবাকে প্রতি মুহূ্র্তে বুঝিয়েছেন, তিনি পারেন না, এমন কোনও বিষয় নেই। আত্মবিশ্বাসের ভিত শক্ত করেছেন মেয়ের। ৪ মে, মায়ের জন্মদিনে আরও এক বার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ মাসাবার।
ইনস্টাগ্রামে মাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্ট দিয়ে বললেন, ‘আমার মায়ের থেকে শক্তিশালী কাউকে দেখান তো!’ যে মাসাবা নিজের মুখ দেখবেন না বলে ঘর অন্ধকার করে রাখতেন, তিনিই আজ আত্মবিশ্বাসী খ্যাতনামী পোশাক-শিল্পী, অভিনেত্রী। সে তো মায়েরই জন্য! সম্প্রতি আমাজন প্রাইমের ‘মডার্ন লাভ মুম্বই’ সিরিজে দেখা গিয়েছে মাসাবাকে। সামনেও তাঁর হাতে একগুচ্ছ কাজ। পাল্লা দিয়ে পাশাপাশিই চলছে নিজস্ব পোশাকশিল্পের কাজ।