মনরো খালি ফিরিয়ে দিতেন
অভিনেত্রী মেরিলিন মনরোর সঙ্গে প্রেম করতেন রক অ্যান্ড রোল-এর রাজা এলভিস প্রিসলি? এ-ও কি সম্ভব? মেরিলিন জীবন-নির্ভর ছবি ‘ব্লন্ড’ মুক্তির লগ্নে আবারও চর্চায় দুই কিংবদন্তির গোপন কথা।
১৯৬০ সালের জুন মাস। আমেরিকায় প্যারামাউন্ট স্টুডিয়োর সেটে এলভিস আর মেরিলিনের দেখা। তার পর? আর কিছুই কি এগোয়নি তাঁদের মধ্যে? ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে, তাঁদের আরও অনেক বার দেখা হয়েছে তার পর পরই। যার সাক্ষী এলভিসের এজেন্ট বাইরন। কিন্তু যেই বাইরন তারকাজুটিকে প্রকাশ্যে ডেটে যাওয়ার প্রস্তাব দেন, একেবারে নাকচ করে দেন মেরিলিন। তাঁরা একসঙ্গে বেরোলে লোক জানাজানি হত, সংবাদমাধ্যমের পসার বাড়ত, অনেকের ভবিষ্যৎ আলো হতে পারত তাতে। কিন্তু তেমন কিছুই হল না। প্রায় ৫০ বছর নাকি এই তথ্য নিজের মনেই চেপে রেখেছিলেন বাইরন। তার পর জানিয়ে দেন নিউ ইয়র্কের এক সংবাদ সংস্থাকে।
তাঁর কথায়, “মুষড়ে পড়েছিলেন এলভিস। আমার মনে হয়, অভিনেত্রী তাঁকে দূরে সরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। যদিও পারেননি। এলভিস মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে। তার দু'সপ্তাহ পর এলভিসের ফোন। বললেন, মনরোকে গাড়িতে করে নিয়ে এসো।” সেই বৃষ্টির রাতের কথা ভোলেননি বাইরন। অভিনেত্রীকে তিনি পৌঁছে দেন বেভারলি উইলশায়ার হোটেলে। এলভিস সেখানেই অপেক্ষা করছিলেন। বাইরনের কথায়, “দেখলাম, দরজা খুলে কোনও কথা না বলেই এলভিস চুমু খেতে শুরু করলেন মনরোকে। আমি হতবাক হয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম, বুঝতে পারছিলাম না, কী করব। এক সময় কথা বলে উঠলেন মনরোই, যিনি এলভিসের থেকে বয়সে ন’বছরের বড়। এলভিসকে বললেন, 'তুমি বড্ড ভাল গিটার বাজাও'।” বাইরনের বিবরণ এখনও শেষ হয়নি। এর দু'মিনিটের মধ্যে দুই তারকাকে বেডরুমের দিকে এগিয়ে যেতে দেখেন তিনি। মাটিতে পা গেঁথে গিয়েছিল যেন, নড়তে পারছিলেন না। তার পর কত ক্ষণ কেটেছে, জানেন না। নীচের পানশালায় অপেক্ষা করার সময় বাইরন দেখেন, দু’জনেই দরজা খুলে বেরিয়ে এলেন। সম্পূর্ণ নগ্ন।
সে দিন এলভিসকে নিয়ে বাড়ি ফেরেন বাইরন। অভিনেত্রীকে ট্যাক্সি ডেকে তুলে দেন এলভিস। শুধু যেতে যেতে বাইরনকে বলেন গায়ক, ‘‘ও আমার তুলনায় একটু বেশিই লম্বা।’’
এত বছর পর চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা শুনে হতবাক ভক্তরা। কেউ বিশ্বাস করলেন, কেউ কেউ মেলাতেই পারলেন না। মেরিলিনের জীবন যে এমনই সব রহস্যে ভরা! যেগুলো বরাবর ব্যক্তিগত রাখার পক্ষপাতী ছিলেন নায়িকা। অন্য দিকে আবার এলভিস গিটার বাজাতে জানতেনই না বলে মত এক বড় অংশের সঙ্গীত বিশেষজ্ঞের। তিনি গিটার হাতে নিয়ে মঞ্চে উঠলেও, সেটকে 'বাজাতে' বড় একটা দেখা যেত না তাঁকে। আবার মেরিলিন নাকি পছন্দ করতেন বয়সে অনেকখানি বড় পুরুষদের। প্রায় এক দশকের কম বয়সি এলভিসের প্রতি তাঁর আকর্ষণের ব্যাপারটা নিয়ে ধন্দ থেকেই যায়। ফলে 'রেড রোজ'-এর সঙ্গে 'কিং'-এর প্রণয় কাহিনিটি একটি মনগড়া রূপকথা বলেই দাবি করছেন এলভিস বা মনরোর অনুরাগীদের একাংশ।
আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেতে চলেছে ‘ব্লন্ড’। মনরোর ভূমিকায় কিউবার তারকা আনা দে আরমাস। ছবিতে হলিউড অভিনেত্রীর জীবনের মর্মান্তিক পরিণতির চিত্রায়ণ নিয়ে সমালোচকরা বিভিন্ন শিবিরে ভাগ হয়ে গিয়েছেন। কেউ বলছেন ভাল, কেউ নিন্দায় মেতেছেন।