নীল ভট্টাচার্য ও তৃণা সাহা
জৌলুসের শুরুটা হয়েছিল বিয়ের আসরে মুখ্যমন্ত্রীর আসা দিয়ে। তার পর থেকেই গুঞ্জন চলছিল, আর কে কে আসবেন!
রাত যত বাড়ল, তত জমে উঠল আসর। কাগজ-কলমে বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর অতিথিরা মঞ্চে উঠলেন তৃণার সঙ্গে দেখা করতে। জনজনে সকলের আবদার মেটালেন অভিনেত্রী। নিজস্বী তুললেন সকলের সঙ্গে।
বিয়েবাড়ির মানানসই সাজে বর-বউকে অভিনন্দন জানাতে হাজির হলেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। পরেন তাঁর ঘিয়ে রঙের পাঞ্জাবি, খয়েরি জহরকোট। সঙ্গে আকাশি রঙের শাড়ি, খোলা চুল, হালকা গোলাপি লিপস্টিকে স্ত্রী মিথিলা। তাঁদের দেখেই হইচই শুরু হল বিয়ের আসরে। রাতের দিকে মায়ের সঙ্গে ‘রানিমা’ দিতিপ্রিয়া রায় অনুষ্ঠানে পৌঁছালেন।কালো টপ আর সিল্কের স্কার্টে এক্কেবারে অন্য রকম সাজ তাঁর। বাড়ল ছবি-নিজস্বী তোলার চাহিদা।
মায়ের সঙ্গে দিতিপ্রিয়া রায়
সন্ধ্যা থেকেই অনুষ্ঠানস্থলে হাজির হলেন ‘খড়কুটো’র অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। বিয়ে বাড়িতে তাঁদের দেখে উচ্ছ্বাস বাকি নিমন্ত্রিতদের। ওই ধারাবাহিকের চরিত্র ‘রূপাঞ্জন’ রাজা গোস্বামীকে দেখা গেল একেবারে পর্দার চেহারাতেই। কেতাদুরস্ত ‘হেপ’ পোশাক। যেমনটা তাঁকে দেখে অভ্যস্ত দর্শক। কিছু ক্ষণের মধ্যেই সপরিবার হাজির হলেন ‘গুনগুনের বাবা’ অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। গল্পে মাতলেন ‘গুনগুনের পিসি’ সুচিস্মিতা চৌধুরীর সঙ্গে। এলেন অভিনেতা কৌশিক রায়। পর্দার বিখ্যাত জুটি ‘সৌগুন’-এর খুনসুটিও ধরা পড়ল ক্যামেরায়।
সৌজন্য ও গুনগুন
সহকর্মীদের সঙ্গে আড্ডায় মাতলেন ‘পুটুপিসি’ সোহিনী সেনগুপ্ত। খয়েরি রঙের সিল্কের শাড়ি, সোনার গয়নার হাল্কা সাজে আসেন তিনি। ‘জ্যেঠিমা’ রত্না ঘোষাল সুতোর কাজ করা ঘিয়ে রঙের শাড়ি আর কার্ডিগানে এসে বসলেন পুটুপিসির পাশেই। ‘পটকা’ অম্বরীশ ভট্টাচার্যও বেশ নজর দিয়েচিলেন সাজে। কালো পাঞ্জাবির উপরে ঘিয়ে জ্যাকেট তাঁর। ছিলেন ‘পটকা’র বউ জয়শ্রী মুখোপাধ্যায় কল, ‘মিষ্টি বৌদি’ রাজন্যা ঘোষ, ‘ঋজুদা’ দেবোত্তম মজুমদারও।
এসেছিলেন পরিচালক-দ্বয় সুদেষ্ণা রায়, অভিজিৎ গুহ। তাঁদের দেখেও গুনগুনের চোখে ঝিলিক মারল আনন্দ।