একঘেয়ে চরিত্রে অভিনয় করতে চাইছিলেন না, তাই দীর্ঘ আট মাস কোনও কাজ পাননি মনোজ। ছবি: সংগৃহীত।
এক একটি ছবি কোনও কোনও অভিনেতার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। জনপ্রিয়তা, অর্থ, স্বীকৃতি সব আসতে থাকে। মনোজ বাজপেয়ীর অভিনয় জীবনেও তেমন সুখবর নিয়ে এসেছিল রামগোপাল বর্মা পরিচালিত ‘সত্য’ ছবিটি। এই ছবিতে মুম্বইয়ের গ্যাংস্টারের চরিত্রে অভিনয় করে আলোকবৃত্তে আসেন অভিনেতা। জেতেন অনেক পুরস্কারও। কিন্তু ভাগ্যে ছিল অন্য বিড়ম্বনা।
পর পর একই ধরনের খলনায়ক চরিত্রের একঘেয়ে প্রস্তাব পেতে থাকেন অভিনেতা। সেগুলি প্রত্যাখ্যানও করতে থাকেন তিনি, সন্ধানে থাকেন তেমন চরিত্রের, যা তিনি করতে আগ্রহী হবেন।
‘সত্য’তে মনোজের সঙ্গে অভিনয়ে ছিলেন ঊর্মিলা মাতণ্ডকর, সৌরভ শুক্ল, পরেশ রাওয়ালের মতো অভিনেতারা। পরবর্তী ছবি ‘গুলমোহর’-এর প্রচারে এসে অভিনেতা জানালেন এই ছবি কতটা জনপ্রিয়তা দিয়েছিল তাঁকে।
এক বার একটি শপিং মলে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে বিপুল সংখ্যক মানুষ ভিড় করেছিলেন। নিরাপত্তারক্ষীরা আটকে রাখতে পারেননি তাঁদের। খলনায়ক বিখুর সঙ্গে দেখা না করে কেউ ফিরবেন না! মনোজ পড়েছিলেন বিপদে। তবে স্বীকার করতে দ্বিধা নেই তাঁর, ‘সত্য’-র সেই চরিত্রই কেরিয়ার বদলে দিয়েছিল।
অভিনেতার কথায়, “এই ছবির পর আমাকে ওই ধরনের চরিত্রের প্রস্তাব বার বার দেওয়া হয়। আমি গোঁ ধরে বসেছিলাম, একঘেয়ে চরিত্রে অভিনয় করব না। দীর্ঘ আট মাস কোনও কাজ পাইনি।”
সংশয়ে পড়েছিলেন মনোজ। জানালেন, অনেক বড় বড় তারকার সঙ্গে কাজের সুযোগ ছিল। কাজ এবং অর্থকে ‘না’ বলা কঠিন কাজ ছিল। তাঁর কথায়, “‘সত্য’-র আগে আমার কাছে কোনওটাই ছিল না, ‘সত্য’-র পরে দুটোই আমি প্রত্যাখ্যান করেছিলাম। জানি না, ঠিক করেছিলাম কি না।”
এর পরে রামগোপালের সঙ্গে তিনি কাজ করেছেন ‘কওন’ (১৯৯৯), আর ‘রোড’ (২০০২) ছবিতে। মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন ‘দিল পে মত লে ইয়ার’(২০০০)-এ। এ ছাড়াও ‘রাজনীতি’( ২০১০), ‘গ্যাংস অফ ওয়াসিপুর পার্ট-১’ ( ২০১২)-এর মতো ছবিতে দর্শকের মনে দাগ কেটেছেন মনোজ। কিছু দিনের মধ্যেই আসতে চলেছে তাঁর নতুন ছবি ‘গুলমোহর’ । সেখানে শর্মিলা ঠাকুরের সঙ্গে পর্দা ভাগ করে নেবেন অভিনেতা।