নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানান মন্দিরা।
এক সময় চুটিয়ে সঞ্চালনা করেছেন। ম্যাচের আগে তাবড় ক্রিকেট তারকাদের অনায়াসে প্রশ্ন ছুড়ে তাক লাগিয়েছেন মন্দিরা বেদী। কিন্তু জানেন কি, সঞ্চালিকা হিসেবে প্রশ্নের মুখে পড়ে তাঁর যোগ্যতা? ক্রিকেটের দুনিয়ায় তাঁকে দাগিয়ে দেওয়া হয় বেমানান হিসেবে? কারণ একটাই। তিনি মহিলা।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সে কথা জানিয়েছেন মন্দিরা স্বয়ং। ২০০৩ এবং ২০০৭ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে সঞ্চালনা করেছেন তিনি। প্রশংসাও কুড়িয়েছেন। কিন্তু মন্দিরা মনে করেন, একজন মহিলা সঞ্চালককে মেনে নিতে অসুবিধা হয় বেশ কিছু খেলোয়াড়ের। ক্যামেরার সামনে সহজ-সাবলীল ভঙ্গিতে নিজের কাজ করে গেলেও কয়েক জনের আচরণ ভয়ে রাখত তাঁকে। মন্দিরার অভিযোগ, অনেক ক্রিকেরটারই তাঁর প্রশ্নের ঠিক মতো উত্তর দিতেন না।
পেশাগত ক্ষেত্রে লিঙ্গ-বৈষম্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “অনেক ক্রিকেটারই আমাকে নিচু চোখে দেখতেন। আমার প্রশ্নগুলিকে তাঁরা কোনও গুরুত্ব দিতেন না। ওঁরা ইচ্ছে মতো উত্তর দিতেন। এমন কথা বলতেন যার সঙ্গে আমার প্রশ্নের কোনও মিল নেই।”
১৫০-২০০ মহিলার মধ্যে সঞ্চালনার জন্য বেছে নেওয়া হয় মন্দিরাকে। তাই একঘরে হয়েও সব ধরনের বঞ্চনা উপেক্ষা করেই কাজ চালিয়ে যান চ্যানেল কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে। সেই সময়ের বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “প্যানেলে বসে থাকা কোনও ব্যক্তিই আমাকে প্রথমে সঞ্চালিকা হিসেবে গ্রহণ করতে পারেননি। অনেক প্রাক্তন ক্রিকেটার এখন আমার বন্ধু। কিন্তু ওঁরাও তখন আমাকে পছন্দ করতেন না। একজন মহিলা শাড়ি পরে, সেজেগুজে ক্রিকেট নিয়ে কথা বলবে, তা ওঁরা মেনে নিতে পারতেন না।”
তবে মন্দিরা কি হার মানার পাত্রী! জোরালো লিঙ্গ-বৈষম্য উপেক্ষা করে নিজের পায়ের তলার মাটি শক্ত করেছেন। এগিয়ে গিয়েছেন কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যের দিকে।