মন ভাল নেই মানালির।
থমকে আছে স্টুডিয়োপাড়া। মুভিটোনে লীনা গঙ্গোপাধ্যায় এবং শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধারাবাহিক ‘ধুলোকণা’-র লুক টেস্টের কথা ছিল মঙ্গলবার। সেই মতো নিয়মবিধি মেনেই হাজির হয়েছিলেন মানালি দে এবং সৌরভ দাস। কিন্তু হলে কী হবে! কোনও কলাকুশলীর দেখা নেই। খুব ভেঙে পড়েছেন মানালি। আনন্দবাজার অনলাইনকে বললেন, ‘‘একে অতিমারী, তার উপর লকডাউন। এ ভাবে দিনের পর দিন যদি কাজ করতে না দেওয়া হয়, তা হলে আমাদের জীবন চলবে কী ভাবে? কাজের ক্ষেত্রে সমস্যা তো থাকবেই। কাজ করতে করতেই না হয় সেগুলো মিটিয়ে নেওয়া যেত।’’
মানালির মতোই মন খারাপ করে বসে আছেন আরেক অভিনেতা সৌরভ দাস। তিনি বললেন, ‘‘আমরা কাজ করব কি করব না, তার সিদ্ধান্ত এমন কিছু মানুষের উপর নির্ভর করছে যাঁরা সরাসরি ধারাবাহিকের সঙ্গে যুক্ত নন। সমস্যা সমাধানের জন্য এত যে বৈঠক হয় সেখানে আমরা কেন গিয়ে কথা বলতে পারি না?’’
লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের হাত ধরে ছোট পর্দায় ফিরছেন মানালি। সঙ্গে আছেন ইন্দ্রাশিস রায়। তিনি দীর্ঘ দিন পর ছোটপর্দায় কাজ করবেন। ‘খড়কুটো’-র মতোই যৌথ পরিবারের গল্প বলবে এই ধারাবাহিক। তবে নতুন ধারাবাহিক নিয়ে দর্শকদের মধ্যেও আগ্রহ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সেই আগ্রহে বাধ সাধল হোয়াটঅ্যাপে ভাইরাল হওয়া এক বিজ্ঞপ্তি। যেখানে নির্দেশ জারি করা হয়েছে, এই মুহূর্তে নতুন কোনও ধারাবাহিকের কাজ শুরু হবে না এবং কলাকুশলীরাও তাতে যোগ দেবেন না। মানালী এবং সৌরভ, দু'জনেই ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট সময় এই ধারাবাহিকের জন্য রেখেই তাঁরা অন্যান্য কাজের কথা ভেবেছিলেন। এখন স্টুডিয়োয় উপস্থিত থেকেই কলাকুশলীদের অনুপস্থিতিতে কাজ হচ্ছে না। তাঁরা হতাশ হয়ে পড়ছেন।
এই সমস্যা হয় তো মঙ্গলবারে প্রযোজক-ফেডারেশন-আর্টিস্ট ফোরামের বৈঠকে মিটতেও পারে। এমনই আশা করছেন কলাকুশলী, প্রযোজক এবং অভিনেতারা।