(বাঁ দিক থেকে) অনিল মেহতা, অমৃতা অরোরা ও মালাইকা অরোরা। ছবি: সংগৃহীত।
বহুতল থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন মালাইকা অরোরার সৎবাবা অনিল কুলদীপ মেহতা। বুধবার সকাল সাড়ে দশটায় মুম্বইয়ের বান্দ্রার বাড়ি থেকে ঝাঁপ দেন তিনি। অনিলের আকস্মিক মৃত্যু গোটা পরিবারের কাছেই বড় ধাক্কা। শহরের বাইরে ছিলেন মালাইকা। মৃত্যুর খবর পেয়ে ছুটে আসেন তিনি। ঘটনার তদন্তভার মুম্বই পুলিশের হাতে। বুধবার রাত আটটা নাগাদ অনিলের দেহের ময়নাতদন্ত হয় মুম্বইয়ের কুপার হাসপাতালে।
অনিলের বয়স হয়েছিল ৬২ বছর। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, শরীরে একাধিক চোটই মালাইকার সৎবাবার মৃত্যুর কারণ। পুলিশি তদন্তের সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত্যুর কিছু ক্ষণ আগে মালাইকা ও তাঁর বোন অমৃতা অরোরাকে ফোন করে অনিল মেহতা বলেছিলেন, “আমি অসুস্থ ও ক্লান্ত।”
ঘটনার সময় ফ্ল্যাটে ছিলেন মালাইকার মা জয়েস পলিক্র্যাপ। প্রতিদিন সকালে উঠে ফ্ল্যাটের বারান্দায় বসে খবরের কাগজ পড়তেন অনিল। ঘটনার দিন বারান্দায় গিয়ে তাঁকে দেখতে পাননি জয়েস। বারান্দা থেকে নীচের দিকে ঝুঁকে দেখতেই চমকে যান তিনি। সেই সময় ফ্ল্যাটের নিরাপত্তারক্ষী সাহায্যের জন্য চিৎকার করছিলেন। মালাইকার মা জানিয়েছেন, তেমন কোনও অসুস্থতা ছিল না অনিলের। সামান্য হাঁটুর ব্যথায় ভুগছিলেন তিনি। কিন্তু কী কারণে তিনি এমন চরম পদক্ষেপ করলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
১২ সেপ্টেম্বর সান্তাক্রুজ়ে হিন্দু মতে তাঁর শেষকৃত্য পালন করা হয়েছে। বুধবার অনিলের জন্য একটি পোস্ট করেন মালাইকা। সেখানে দেখা যায়, ১৯৬২ সালে জন্ম অনিলের। পদবীও অরোরা নয়। খটকা লাগে নেটাগরিকের। পরে জানা যায়, অনিল মেহতা আসলে মালাইকার সৎবাবা। মালাইকার নিজের বাবার নাম অনিল অরোরা। অভিনেত্রীর যখন ১১ বছর বয়স, তখনই অনিল অরোরার সঙ্গে জয়েস পলিক্র্যাপের বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছিল।