মেয়ে পাশে ছিল তাতেই দ্রুত সুস্থবোধ করেছেন মহিমা
মারণরোগ থাবা বসিয়েছে মহিমা চৌধুরীর শরীরে। স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত অভিনেত্রীর চিকিৎসাও চলছে। কেমোথেরাপির পর অল্প অল্প চুল গজিয়েছে তাঁর মাথায়। মানসিক ভাবেও অনেকটা সেরে উঠেছেন ‘পরদেশ’-এর নায়িকা। কী ভাবে পেলেন এত মনের জোর? পুরো কৃতিত্ব মহিমা দেন ১৫ বছরের কন্যা আরিয়ানাকেই।
যেভাবে মেয়ে পাশে ছিল, তাতেই দ্রুত সুস্থবোধ করেছেন মহিমা। এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, ‘‘করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে সদ্য স্কুল খুলেছে তখন। কিন্তু আরিয়ানা বাড়িতেই ছিল, স্কুলে যায়নি। আমি তখন সেরে উঠছি একটু একটু করে। বেরোলে যদি সঙ্গে ভাইরাস চলে আসে? সেই ভয়েই স্কুলে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আমার মেয়ে। স্কুলও ওকে বাড়ি থেকে অনলাইন ক্লাস করার অনুমতি দিয়েছিল।’’
মহিমার ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রথম প্রকাশ্যে এনেছেন অনুপম খের। প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন অভিনেত্রীর সাহস আর লড়াকু মানসিকতাকে। ক্যানসারের অসুস্থতা, দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা এতটুকু দমাতে পারেনি ‘কুরুক্ষেত্র’-এর নায়িকাকে। বরং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আবার ফিরতে চান শ্যুটিং ফ্লোরে। তাঁর এই বাঁচার খিদে, লড়াইয়ের সাহস, ছন্দে ফেরার জেদ মুগ্ধ করেছে অনুপমকে। অভিনেত্রীর লড়াইয়ের কাহিনি তাই নিজেই এক ভিডিয়োয় পৌঁছে দিয়েছেন অনুরাগীদের কাছে।
ভিডিয়োয় মহিমা নিজেই এসেছেন ক্যামেরার সামনে। বলেছেন, ‘‘এক মাস আগে অনুপম যখন ফোন করেন, আমি তখন হাসপাতালে, চিকিৎসা চলছে। ইতিমধ্যে ওয়েব সিরিজ আর ছবির একাধিক প্রস্তাব এসেছে। হ্যাঁ বলতে পারিনি। কারণ মাথায় চুল ছিল না তখন।’’ আবেগে ভেসে মহিমা অনুপমকে এ-ও জিজ্ঞাসা করেন, পরচুলা মাথায় দিয়ে তিনি ছবিতে অভিনয় করতে পারবেন কি না। ভিডিয়ো দেখে তাঁকে ভালবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন বলিউড তারকা ও অনুরাগীরা।