দুই মেয়ে আলিয়া ভট্ট ও শাহিন ভট্টের সঙ্গে বাবা মহেশ ভট্ট। ছবি: সংগৃহীত।
ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খোলামেলা কথা বলতেই ভালবাসেন পরিচালক মহেশ ভট্ট। নিজের বাবা-মায়ের ভিন্ ধর্মে বিয়ে নিয়েও এক পুরনো সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছিলেন মহেশ। তাঁর বাবা নানাভাই ভট্ট ছিলেন এক জন গুজরাতি ব্রাহ্মণ। অন্য দিকে মা শিরিন মহম্মদ আলি ছিলেন ইসলাম ধর্মাবলম্বী। মহেশের দুই মেয়ে আলিয়া ও শাহিনের নামকরণ নিয়ে নাকি একটু চিন্তায় ছিলেন তিনি। দুই নাতনির মুসলিম নাম রাখা হলে সমস্যা হতে পারে, এই আশঙ্কায় ছিলেন শিরিন।
মহেশ এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “দুটি ধর্মের সেরা দিকগুলিই আমি আত্মস্থ করেছি। আমার মা এক জন শিয়া মুসলিম ছিলেন। অন্য দিকে আমার বাবা পৈতেধারী ব্রাহ্মণ ছিলেন। তিনি কখনওই ধর্মনিরপেক্ষ সাজার চেষ্টাও করেননি। সবচেয়ে অদ্ভুত বিষয় হল, নিজেদের ব্যক্তিগত বিশ্বাস নিয়েই ওঁরা একসঙ্গে থাকতেন। পরস্পরকে পাগলের মতো ভালবাসতেন। কিন্তু কখনওই একে অপরের উপর ধর্মীয় আচার চাপিয়ে দেননি।”
সেই সাক্ষাৎকারে আলিয়া ভট্টের বাবা আরও বলেছিলেন, “আমার মা কপালে একটা বড় টিপ পরতেন। পরনে শাড়ি। তিনি এটা পছন্দ করতেন। কিন্তু বুঝতে পারতাম, কিছু একটা তিনি লুকোচ্ছেন। তাঁর সংখ্যালঘু পরিচয় আমার দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব ফেলবে, এই আশঙ্কা করতেন তিনি। আমি নিজের মুসলিম যোগের কথা প্রকাশ্যে আনলেও তিনি ভয় পেতেন। দুই মেয়ের নামকরণ নিয়েও চিন্তা করতেন। আমার দ্বিতীয় স্ত্রীর পছন্দ ছিল শাহিন ও আলিয়া এই দু’টি নাম। দুটি নামই কিন্তু মুসলিম।”
১৯৭০ সালে কিরণ ভট্টকে বিয়ে করেন মহেশ ভট্ট। তাঁদের দুই সন্তান রাহুল ও পূজা ভট্ট। এর পরে ১৯৮৬-এ সোনি রাজদানকে বিয়ে করেন মহেশ। তাঁদের সংসারে দুই মেয়ে শাহিন ও আলিয়ার জন্ম হয়।