বামার সামনে বড় পরীক্ষা। ছবি: ফেসবুক
সামনেই বাংলা নববর্ষ। তার আগেই বিশাল অঘটন! স্নানযাত্রার পবিত্রতা নষ্ট হওয়ায় তারা মা তারাপীঠ ছেড়ে চলে যাচ্ছেন! তিনি ক্ষুব্ধ তাঁর সাধক সন্তান বামাক্ষ্যাপার উপর। তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন, কোনও ভাবেই যেন স্নানের পবিত্রতা নষ্ট না হয়। যদিও ধারাবাহিকে মাধবীর প্রভাবে বামা তা রক্ষা করতে পারেনি।
বাংলা নতুন বছরের আগেই কি তারাপীঠ তারা মা শূন্য হবে? স্টার জলসার ভক্তিমূলক ধারাবাহিক ‘মহাপীঠ তারাপীঠ’-এর ১২ এবং ১৩ এপ্রিলের ১ ঘণ্টার মহাপর্ব এমনই প্রশ্ন তুলছে।
কী দেখা যাবে রাত ১০টার ২ দিনের মহা পর্বে? মা তারার স্নানকে মাধবী কি নষ্ট করে দেবে? এমনটা যে হতে পারে, বড় মা কি আগাম জানতে পেরেছিলেন? তাই কি তিনি তাঁর মন্দিরের প্রহরীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন ব্রহ্মশিলা অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যেতে? যাতে স্নানের পবিত্রতা নষ্ট না হয়! শেষ রক্ষা হল কই? মাধবী কৌশলে অপবিত্র করে দেয় মায়ের স্নানের জল। নিরপরাধ বামা কিছু না জেনে সেই জল দিয়েই স্নান করায় ব্রহ্মশিলাকে। সঙ্গে সঙ্গে দেবী সাধককে জানান, বিধি ভঙ্গের অপরাধে তিনি তারাপীঠ ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। বামা কি পারবে তার মাকে মন্দিরে ধরে রাখতে? মাধবী কি তার অপরাধের শাস্তি পাবে?
গত সপ্তাহ থেকেই রেটিং চার্টের উপরের দিকে উঠে এসেছে স্টার জলসার ‘মহাপীঠ তারাপীঠ’ ধারাবাহিক। ‘সাধক বামাক্ষ্যাপা’রূপী সব্যসাচী চৌধুরীর অভিনয় এই মেগার জনপ্রিয়তার কারণ। ‘তারা মা’ নবনীতা দাসও আকর্ষণের অন্যতম কারণ। পাশাপাশি, গত ৫ মাস ধরে ভক্তিমূলক মেগার বাড়তি ইউএসপি জনপ্রিয় মঞ্চাভিনেতা গৌতম হালদার। এই মেগায় তিনি ‘অঘোরেশ্বর’।
পর্দার বামাক্ষ্যাপার দাবি, তিনি আর গৌতম হালদার যতবার এক সঙ্গে পর্দায় এসেছেন, তত বার রেটিং চার্টে তার ছাপ পড়েছে। সব্যসাচীর অভিনয় ধারা কি বদলেছে? অভিনেতার দাবি, ‘‘মাত্র ৫ মাসে সেটা সম্ভব নয়। আর গৌতম হালদারের মতো অভিনেতা একটি দৃশ্যের এত রকম অভিনয় করে দেখাতে পারেন, যে সব ধরন এক সঙ্গে নেওয়াও সম্ভব নয়। তবে কোনও অসুবিধায় পড়লেই তিনি সবাইকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন।’’