মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের অভিযোগ, অমিতাভ এবং অক্ষয় কংগ্রেস আমলে জ্বালানির দাম বৃদ্ধি বা নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর মৃল্যবৃদ্ধি নিয়ে লাগাতার সরব হতেন। অথচ বিজেপির আমলে দু’জনেই নীরব। কেন্দ্রে ইউপিএ ক্ষমতায় থাকাকালীন দুই অভিনেতার করা বেশ কিছু টুইটও তুলে ধরা হয়েছে।
কুশপুতুল পুড়ল অমিতাভ-অক্ষয়ের।
কংগ্রেসের আমলে প্রতিবাদ করতেন। বিজেপির বেলা চুপ কেন? জ্বালানির দাম বাড়া ও মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে অবস্থানের প্রশ্নে আঙুল উঠল অমিতাভ বচ্চন ও অক্ষয় কুমারের দিকে! এই ইস্যুতে শুক্রবার দুই অভিনেতার কুশপুতুলও পুড়িয়েছে মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেস। আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন কংগ্রেস বিধায়ক পি সি শর্মা। বিজেপির পাল্টা খোঁচা, এমনধারা আন্দোলনে কংগ্রেসের হতাশাই স্পষ্ট হচ্ছে।
মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের অভিযোগ, অমিতাভ এবং অক্ষয় কংগ্রেস আমলে জ্বালানির দাম বৃদ্ধি বা নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর মৃল্যবৃদ্ধি নিয়ে লাগাতার সরব হতেন। অথচ বিজেপির আমলে দু’জনেই নীরব। কেন্দ্রে ইউপিএ ক্ষমতায় থাকাকালীন দুই অভিনেতার করা বেশ কিছু টুইটও তুলে ধরা হয়েছে।
বিধায়ক পি সি শর্মার দাবি— “২০১২ নাগাদ দুই অভিনেতা টুইট করতেন, মানুষ গাড়ি কিনতে পারছেন কিন্তু পেট্রোল-ডিজেল কিনতে ঋণ নিতে হচ্ছে! অথচ সেই সময়ে এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ছিল ৩০০-৪০০ টাকা এবং পেট্রোল-ডিজেলের দাম ছিল লিটার পিছু ৬০ টাকা। অথচ এখন বিজেপির আমলে এলপিজি সিলিন্ডারের দাম হাজার টাকা পেরিয়েছে। পেট্রোল-ডিজেলের দাম ঘোরাফেরা করছে ১০০ থেকে ১২০ টাকার মধ্যে। কিন্তু এখন দুই অভিনেতাই নীরব। আসলে সাধারণ মানুষের জন্য ওঁদের কোনও ভাবনা নেই।”
পাল্টা জবাব এসেছে বিজেপির তরফেও। দুই তারকার কুশপুতুল পোড়ানোকে দুর্ভাগ্যজনক বলে দাবি করে বিজেপির সাংসদ বিশ্বাস সারাংয়ের কটাক্ষ, “অমিতাভ বচ্চন দলের সাংসদ থাকাকালীন তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিল কংগ্রেস। সনিয়া গাঁধীর নেতৃত্ব মানতে অস্বীকার করার পর থেকেই অমিতাভ এখন অপছন্দের পাত্র। ওঁর মতো এত বড় মাপের অভিনেতার কুশপুতুল পোড়ানোয় কংগ্রেসের হতাশাই বেরিয়ে আসছে।”