Madhuri Dixit

একাধিক সাহসী দৃশ্য, সানি-জ্যাকির সঙ্গে করা এই ফিল্ম মনেই রাখতে চান না মাধুরী

কেরিয়ারের শুরুতেই সানি দেওল এবং জ্যাকি শ্রফের মতো সুপারস্টারের সঙ্গে কাজের সুযোগ। বক্স অফিসেও হিট। তা সত্ত্বেও মাধুরী দীক্ষিত নাকি এই ফিল্মটি মনেই রাখতে চান না। কোন সে ফিল্ম? কেনই বা তা নিয়ে কথাবার্তায় বিশেষ উৎসাহী নন মাধুরী?

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২০ ০৯:৩৮
Share:
০১ ১৬

কেরিয়ারের শুরুতেই সানি দেওল এবং জ্যাকি শ্রফের মতো সুপারস্টারের সঙ্গে কাজের সুযোগ। বক্স অফিসেও হিট। তা সত্ত্বেও মাধুরী দীক্ষিত নাকি এই ফিল্মটি মনেই রাখতে চান না। কোন সে ফিল্ম? কেনই বা তা নিয়ে কথাবার্তায় বিশেষ উৎসাহী নন মাধুরী?

০২ ১৬

অনেকই জানেন, এক সময় বলিউডে রাজত্ব করেছেন মাধুরী দীক্ষিত। যে সময় নায়ককেন্দ্রিক ফিল্ম হত, সে সময় একার হাতে টেনে তুলেছেন বহু সাদামাটা ফিল্মকে। তবে স্টারডমের চূড়ায় পৌঁছনোর আগে কম স্ট্রাগল করতে হয়নি মাধুরীকে। সেই স্ট্রাগল পর্বের একটি ফিল্ম নিয়ে নাকি এখনও আফসোস করেন তিনি। সে কাহিনি শোনানোর আগে একটু পিছিয়ে যাওয়া যাক। দেখে নেওয়া যাক, কেমন ছিল মাধুরীর কেরিয়ারের গোড়ার দিকটা।

Advertisement
০৩ ১৬

১৯৮৪ সালে বলিউডে ডেবিউ হলেও কেরিয়ারের গোড়ায় আর পাঁচটা বলি-হিরোইনের মতোই স্ট্রাগল করতে হয়েছে মাধুরীকে। হীরেন নাগের ফিল্ম ‘অবোধ’-এ তাঁকে প্রথম দেখা গিয়েছিল বড় পর্দায়। তাপস পালের বিপরীতে আনকোরা মাধুরীর উত্থান ঝড়ের গতিতে হয়নি। বরং ’৮৪-র সেই ফিল্মের পর বেশ কষ্ট করে বলিউডে নিজের জমি পোক্ত করতে হয়েছে মাধুরীকে।

০৪ ১৬

বলিউডে অভিষেকের পর বেশ কয়েকটা ফিল্মে কাজ করলেও বছর চারেক বড়সড় হিট দিতে পারেননি মাধুরী। সেই স্ট্রাগলিং পর্বে অবশ্য সুযোগ পেয়েছেন ‘দয়াবান’-এর মতো ফিল্ম করার। ফিরোজ খানের সেই ফিল্মে সাহসী দৃশ্যে দেখা গিয়েছিল মাধুরী এবং বিনোদ খন্নাকে। সালটা ১৯৮৮। সে বছরের ২১ অক্টোবর রিলিজ করেছিল ফিল্মটি।

০৫ ১৬

‘দয়াবান’-এর বোল্ড সিন এবং পাওয়ারফুল পারফরম্যান্সের জোরে বলিউডে চর্চায় থাকলেও মাধুরীর কেরিয়ারে স্টারডমের ছোঁয়া লাগেনি তখনও।

০৬ ১৬

কেরিয়ারের শুরুতেই সে সময় মাধুরী সুযোগ পেয়েছিলেন উমেশ মেহরার সঙ্গে একটি ফিল্ম করার। লোভনীয় স্টারকাস্ট। রয়েছেন সে সময়কার তারকারা— সানি দেওল এবং জ্যাকি শ্রফ। তবে নায়িকার ভূমিকায় নয়। তাতে রয়েছেন কিমি কাতকর। মাধুরী তাতেও রাজি হয়েছিলেন সেই ফিল্ম করতে।

০৭ ১৬

সানি-জ্যাকির সঙ্গে সে সময় কাজ করাটা বড় সুযোগ হিসেবেই দেখেছিলেন মাধুরী। ইন্ড্রাস্ট্রিতেও ভাল জমি করে নিতে পারবেন ভেবেই হয়তে তাতে রাজি হয়েছিলেন। তবে এই ফিল্মটিই আর কখনই মনে রাখতে চাননি মাধুরী।

০৮ ১৬

উমেশ মেহরার সেই ফিল্মটি ছিল ‘বর্দী’। তবে শ্যুটিং শেষ হলেও নানা ডামাডোলে তা রিলিজ হচ্ছিল না। এক সময় তো প্রযোজকও বদল হল।

০৯ ১৬

সেই সময়ই মাধুরীর হাতে এসেছিল ‘তেজাব’। এন চন্দ্রার সেই ফিল্মই মাধুরীকে একধাক্কায় স্টারডমের তুঙ্গে তুলে দেয়। সালটা ১৯৮৮। সে বছরের নভেম্বরে ‘তেজাব’ রিলিজের পর মাধুরীর ‘এক, দো, তিন... ’ গানের তালে মেতেছিল ৮ থেকে ৮০। সেই ফিল্মের হিরো অনিল কপূরের সঙ্গে তো একেবারে জুটি তৈরি হয়ে গিয়েছিল বলিউডে।

১০ ১৬

‘তেজাব’ রিলিজ করলেও উমেশ মেহরার ‘বর্দী’ তখনও পর্দায় দেখা যায়নি। এ দিকে মাধুরীর তখন স্টারডম আকাশছোঁয়া। বাজারদরও তুমুল। সেই সাফল্যে গা ভাসাতেই বোধহয় ‘বর্দী’-র প্রযোজক তড়িঘড়ি ফিল্ম রিলিজে সিদ্ধান্ত নেন। ‘তেজাব’ রিলিজ মাস দুয়েক পরেই রিলিজ করে ‘বর্দী’। ১৯৮৯-এর ৬ জানুয়ারি।

১১ ১৬

‘বর্দী’ রিলিজের পর দেখা গেল, মাধুরীর রোল এতটাই কাটছাঁট করা যে তাকে ক্যামিয়ো বলা ছাড়া উপায় নেই। কেন? সেন্সর বোর্ড নাকি সে সময় ওই ফিল্মের দৈর্ঘ দেখে এত দিন তা রিলিজে বাধা দিয়েছিল। ফলে রোলে কাটছাঁট!

১২ ১৬

সেন্সর বোর্ডের সিদ্ধান্তে ‘বর্দী’-র যে দৃশ্যগুলো বাদ পড়েছিল, তাতে মাধুরীর বড়সড় অংশ ছিল। এবং তাতেই কাঁচি পড়েছিল। ফলে পার্শ্বচরিত্র থেকে মাধুরীর রোল একেবারে ক্যামিয়োতে পরিণত হয়েছিল।

১৩ ১৬

‘তেজাব’-এর সাফল্যর পর পরই ‘রাম লখন’ রিলিজ করে। সালটা ১৯৮৯। সে বছরের জানুয়ারিতে সুভাষ ঘাইয়ের এর মতো পরিচালকের ‘রাম লখন’ মাধুরীকে স্টারডমের এক নয়া উচ্চতা দেয়। এর পর বলিউডে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি মাধুরীকে। তবে ‘বর্দী’ নিয়ে সে সময় বেশ অস্বস্তিতে পড়েছিলেন তিনি।

১৪ ১৬

সুপারস্টার নায়িকা মাধুরীকে জ্যাকির সঙ্গে ‘বর্দী’-তে বোল্ড সিনে দেখা গিয়েছিল। ওই ফিল্মে সুপারস্টার মাধুরী ছিলেন একেবারেই পিছনের সারিতে। মাধুরীর নামের জোয়ারে ফিল্ম হিট করলেও তাঁর ক্যামিয়ো দেখে ফ্যানেরাও বোধহয় হতবাক হয়েছিলেন। অবাক হয়েছিলেন তাঁর সাহসী দৃশ্যেও।

১৫ ১৬

স্টারডমের তুঙ্গে ওঠা মাধুরী নিজের কেরিয়ারের এমন একটা সময়ে ‘বর্দী’-র জন্য ‘হ্যাঁ’ বলেছিলেন, যে সময় তিনি ফিল্ম বাছাবাছি করার মতো জায়গায় ছিলেন না। তবে কয়েক মাসের মধ্যেই যে তাঁর ভাগ্য বদলে যাবে, তা কে জানত!

১৬ ১৬

নয়া স্টারডমের পর মাধুরীর কাছে একাধিক দরজা খুলে গিয়েছিল। ফিল্ম বাছাইয়ের সুযোগ ছিল। যে কোনও প্রজেক্টকে ফিরিয়ে দেওয়ারও সাহস এসে গিয়েছিল। ফিল্ম বাছাবাছির ক্ষেত্রেও তাঁর কথাই শেষ কথা হয়ে গিয়েছিল। তবে কেরিয়ারের শুরুতে সেই সাহস বোধহয় তিনি চাইলেও করতে পারতেন না। ফলে ‘বর্দী’ নিয়ে এখনও বোধহয় আফসোস যায়নি। ওই ফিল্মকে মনেও রাখতে চান না মাধুরী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement