মা দুর্গার ভূমিকায় মধুমিতা।
পুজো আসছে। বদলাচ্ছে রোদের রং। বাঙালির মনে এখন খুশির আমেজ। মহালয়ারও আর খুব বেশি দেরি নেই। বেসরকারি চ্যানেলগুলোতে প্রতি বছর মহালয়ার সকালে মহিষাসুরমর্দিনীর অনুষ্ঠান এখন রেওয়াজ হয়ে গিয়েছে। এই প্রথম স্টার জলসায় দুর্গার ভূমিকায় দেখা যাবে অভিনেত্রী মধুমিতা সরকারকে। কিছু দিন আগে শেষ হয়েছে মহিষাসুরমর্দিনীর শুটিং। কেমন ছিল সেই অভিজ্ঞতা? তা নিয়ে আনন্দবাজারের কাছে মুখ খুললেন অভিনেত্রী নিজেই।
মধুমিতা বললেন, “জীবনে প্রথম বারমহিষাসুরমর্দিনীর ভূমিকায় অভিনয় করছি। এর আগে পার্বতী হয়েছিলাম। তবে সেটা খুব একটা চাপের ছিল না। সন্দীপ্তা মহিষাসুরমর্দিনী হয়েছিল ওঁর উপরেই চাপটা বেশি ছিল। ওঁর চোখের মধ্যেই একটা মা দুর্গার মতো ব্যাপার রয়েছে। আমি একেবারে উল্টো। ভগবান হওয়ার জন্য যে বিশেষ ফিলিংস থাকার দরকার হয়, সেটা আমার মধ্যে ছোটবেলা থেকেই কম।” জানালেন প্রথম শুটেই করতে হয়েছিল ক্লাইম্যাক্সের শুটিং। একেবারেই প্রস্তুত ছিলেননা।
ভেবেছিলেন নাচ, গানের মধ্যে দিয়ে শুটিং শুরু হবে তারপর একটু অভ্যস্ত হয়ে গেলে ফাইনাল শট শুট করবেন। কিন্তু সে গুড়ে বালি! ‘দশ কিলো’ গয়না পরে সেটে গিয়েই দেখেন প্রথম দিনই করতে হচ্ছে ওই শুট। তার মধ্যে ভারী ত্রিশূল। সব মিলিয়ে নাজেহাল অবস্থা। হেসে বললেন, “আর যিনি মহিষাসুর হয়েছেন তিনি এতটাই ভাল, এতটাই স্বতঃস্ফূর্ত, মনে হচ্ছিল, এই মহালয়াতে উল্টোটাই হবে। মা দুর্গা নয়, মহিষাসুরই বধ করবেন মা দুর্গাকে।”
আরও পড়ুন-পুলিশের উর্দি গায়ে দেব, আস্তানা গাড়ছেন হ্যাকারদের দুনিয়ায়
সেটের সকলে যে খুব সাহায্য করেছেন জানালেন সে কথাও। কথা প্রসঙ্গে এল ‘স্টার জলসা মহালয়া’-র পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের কথাও। সব রকম সহযোগিতা পেয়েছেন তাঁর কাছ থেকেও। যখন নিজেরও মনে হয়েছে এই বোধহয় আর হল না। সাহস জুগিয়েছেন সেটের বাকিরা।
মধুমিতা যখন মা দুর্গা
কোনও মজার অভিজ্ঞতা? মধুমিতার কথায়, “সে এক কাণ্ড! লাঞ্চ ব্রেকের পর আবার শুটিং, ঠিক করেছি এবার একেবারে নিজের সব টুকু দিয়ে দেব। সেই মতো শুটিং- এর সময় এক্সপ্রেশন দিয়ে, জম্পেশ করে শট দিচ্ছি। কো-অ্যাক্টররাও তারিফ করছেন। আমি তো খুব খুশি। ও বাবা! পরে শুনি নাকি সেটা সিলুয়েট শট। সব এক্সপ্রেশন জলে।”
সব কিছু সামলে অবশেষে মুক্তি পেয়েছে সেই প্রোমো। কুড়িয়েছে দর্শকের প্রশংসাও। গোটা অনুষ্ঠানের জন্য অবশ্য অপেক্ষা করতে হবে মহালয়ার সকাল অবধি।
আরও পড়ুন- শ্রাবন্তীর হাত বদল! উত্তর খুঁজতেই বেরিয়ে এল আসল রহস্য