গৌতম দে। ইনসেটে মধুমিতা।
গৌতমদা নেই, এটা এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না আমার। সকালেই খবর পেয়েছি। কিন্তু হাসিখুশি গৌতমদা আর কখনও ফ্লোরে যাবে না, হাসবে না— এটা বিশ্বাস হচ্ছে না।
‘কুসুমদোলা’তে প্রায় আড়াই বছর ওঁর সঙ্গে কাজ করেছি আমি। সে সময় কাছ থেকে দেখেছি। উনি যে অসুস্থ ছিলেন, ক্যানসারের মতো ভয়াবহ একটা রোগ বাসা বেঁধেছিল শরীরে তা জানতাম না একেবারেই। আমি ওঁর অসুস্থতার খবর জেনেছি আমাদের সিরিয়াল শেষ হয়ে যাওয়ার পরে।
শুটিং ফ্লোর গৌতমদা মাতিয়ে রাখতেন। সকলের সঙ্গে হাসি, ঠাট্টা করতেন। কোনও সিন নিয়ে আমরা হয়তো সিরিয়াস হয়ে গিয়েছি। গৌতমদাই প্রথম নিজেকে নিয়ে মজা শুরু করতেন। ইয়ার্কি করতেন নিজের কিছু নিয়ে। আমরা হা হা করে হাসতাম। তখন আবার কপট রাগ দেখিয়ে বলতেন, তোরা সব সময় আমাকে নিয়ে মজা করিস। আবার কখনও যদি ফ্লোরে আমরা বেশি হাসতাম তখন আবার সিরিয়াস হয়ে কাজে ফেরানোর কাজটাও প্রথম করতেন গৌতমদাই।
আরও পড়ুন, বাংলা টেলি সিরিয়ালের জনপ্রিয় মুখ গৌতম দে প্রয়াত
সে সব স্মৃতি মনে পড়ছে আমার। এত বড় অসুখ নিয়েও এত এনার্জি নিয়ে কাজ করতেন, ভাবতে পারবেন না।
ভাল থাকুন আপনি। ভাল থাকুন গৌতমদা।
(হলিউড, বলিউড বা টলিউড - টিনসেল টাউনের টাটকা বাংলা খবর পড়তে চোখ রাখুন আমাদের বিনোদনের সব খবর বিভাগে।)