(বাঁ দিকে) প্রিয়ঙ্কা চোপড়া, শীলা অম্বালা পটেল (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
জন্মসূত্রে তিনি ভারতীয়। নাম শীলা অম্বালা পটেল। ১৮ বছর বয়সে উচ্চশিক্ষার জন্য আমেরিকায় গিয়েছিলেন শীলা। সেখানেই এক আমেরিকানকে বিয়ে করে সংসার করা শুরু করেন। তার পর ২৩ বছর বয়সে স্বামীকে নিয়ে ভারতে ফেরেন শীলা। তার পরেই শুরু হয় শীলার জীবনের দ্বিতীয় অধ্যায়। আধ্যাত্মিক গুরু ওশো রজনীশের কাছে দীক্ষা নিয়ে তাঁর আশ্রমে থাকতে শুরু করেন তিনি। নাম হয় মা আনন্দ শীলা। কয়েক বছরের মধ্যেই ওশোর সবচেয়ে কাছের শিষ্যা হয়ে উঠেছিলেন তিনি। এমনকি, ব্যক্তিগত সহায়কের সহকারী থেকে ওশোর ব্যক্তিগত সহায়িকা হয়ে উঠতেও বেশি সময় লাগেনি মা আনন্দ শীলার। ক্ষমতার শীর্ষে থাকাকালীন খুনের চেষ্টা, গণবিষপ্রয়োগের মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। নিজের অপরাধ স্বীকার করে হাজতবাসও করেছেন মা আনন্দ শীলা। ওটিটি প্ল্যাটফর্মের ‘ওয়াইল্ড ওয়াইল্ড কান্ট্রি’ সিরিজ়ে উঠে এসেছে তাঁর জীবনও। সেখানেই শেষ নয়। তাঁর জীবন নিয়ে কাজ করছেন স্বয়ং প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। তবে তাতে মত নেই মা আনন্দ শীলার। নিজের চরিত্রের জন্য কোন বলিউড অভিনেত্রীকে পছন্দ তাঁর?
বলিউডের সঙ্গে মা আনন্দ শীলার যোগাযোগ হালের নয়। কয়েক বছর আগে তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন বলিউডের জনপ্রিয় পরিচালক-প্রযোজক কর্ণ জোহর। তাঁকে নিয়ে তৈরি হয়েছে তথ্যচিত্র ‘সার্চিং ফর শীলা’। ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মা আনন্দ শীলাকে নিয়ে একটি প্রজেক্টের জন্য ‘দ্য সারভাইভার’ খ্যাত ব্যারি লেভিনসনের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন প্রিয়ঙ্কা। তবে নিজের চরিত্রে প্রিয়ঙ্কাকে মোটেই পছন্দ নয় শীলার। এমনকি প্রিয়ঙ্কাকে আইনি নোটিসও পাঠিয়েছেন তিনি। শীলার কথায়, ‘‘আমার জীবন নিয়ে কাজ হচ্ছে, অথচ আমার অনুমতি নেওয়া হয়নি।’’ আইনি এই জটিলতা ছাড়াও প্রিয়ঙ্কাকে নিয়ে বেশ অসন্তুষ্ট শীলা। তা হলে কোন অভিনেত্রীকে পছন্দ তাঁর? শীলা বলেন, ‘‘আমি চাই, আমাকে নিয়ে বলিউডে কোনও কাজ হলে সেটা আলিয়া করুক। কারণ, আমাকে আমার যৌবনের চেহারার সঙ্গে আলিয়ার মিল আছে।’’
অন্য দিকে, প্রিয়ঙ্কার প্রজেক্ট ছাড়াও বলিউডে শকুন বাত্রাও কাজ করছেন মা আনন্দ শীলাকে নিয়ে। প্রিয়ঙ্কার প্রজেক্টের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় যেতে রাজি নন শকুন। নিজের মতো করে গবেষণানির্ভর একটি কাজ করতে চান তিনি, দাবি পরিচালকের। সেই প্রজেক্টে থাকার কথা আলিয়া ভট্টের। যদিও এখনও সেই কাজ নিয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়নি নির্মাতাদের তরফে।