kaushik gangopadhyay

Lokkhi Chele : ‘কুসংস্কার’-এর পর্দা তুলতে আসছে ‘লক্ষ্মী ছেলে’, কী বলছে টলিপাড়া?

আসছে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের নতুন ছবি ‘লক্ষ্মী ছেলে’। মনের কোণে থাকা কুসংস্কার, অন্ধবিশ্বাসে ধাক্কা দিতে চায় এ কাহিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০২২ ১৯:৫২
Share:

নতুন বার্তা দিতে আসছে ‘লক্ষ্মী ছেলে’

পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সকালে ডিম দেখলেই বুক ধুকপুক। পরীক্ষাটা ভাল মতো মিটলে হয়। বাড়ি থেকে বেরোনোর মুখে ঠিক হাঁচিটা দিতে হল ! কেউ না কেউ এ কথা বলবেনই! অতএব একটু বসে তার পর আবার রওনা দেওয়া। ছোটবেলা থেকে এমন অনেক নিয়ম কারণ-অকারণে মেনে চলতে হয় অনেককেই।

Advertisement

নিয়মের নামে সেই কুসংস্কারকে মুছে ফেলা খুবই জরুরি। সেই বার্তাই দিতে আসছে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের নতুন ছবি ‘লক্ষ্মী ছেলে’। যুগ পাল্টাচ্ছে। বদলে যাচ্ছে জীবনযাপন। তবু এই ২০২২-এও অন্ধ বিশ্বাস আর কুসংস্কারের ছড়াছড়ি সমাজে। এ নিয়ে কী বলছে টলিপাড়া?

সব্যসাচী চক্রবর্তী:

Advertisement

অনেককে দেখেছি নির্দিষ্ট রঙের পোশাক পরেন। কিংবা সময়, সংখ্যা নিয়ে অনেকের অনেক রকম বাতিক আছে। কিছু লোক মনে করেন, বালিশে বসলে ফোঁড়া হয়। কিন্তু আদৌ তো সে সব কিছুই হয় না। বরং বালিশটা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এ সব কুসংস্কার তাদেরই তৈরি, যারা মানুষকে নিজের আয়ত্তে রাখতে চায়।

ঋতাভরী চক্রবর্তী:

ঋতুস্রাব চলাকালীন ভগবানকে স্পর্শ করতে নেই। এমন কত অকারণ নিয়ম রয়ে গিয়েছে সমাজে। কুসংস্কার সমাজকে অনেকটা পিছিয়ে নিয়ে যায়। ছোটবেলায় পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে মা-কে প্রণাম করে যেতাম। বিশ্বাস ছিল তাতে পরীক্ষা ভাল হবে। কিন্তু পড়াশোনা না করলে কি সত্যিই পরীক্ষা ভাল হত? যে সব কুসংস্কার পিছিয়ে দেয় আমাদের, সেগুলো অবিলম্বে জীবন থেকে মুছে ফেলা উচিত।

অনির্বাণ ভট্টাচার্য:

এটা আমাদেরই ব্যর্থতা। স্বাধীনতার ৭৫ বছর বয়স। কিন্তু এখনও সমাজের একটা বড় অংশ তবু কুসংস্কারের কবল থেকে বেরিয়ে আসতে পারল না। ‘লক্ষ্মী ছেলে’-র মাধ্যমে কৌশিকদা কুসংস্কারের বিরুদ্ধে যে কথাগুলো বলতে চাইছেন, আমাদের আজকের সমাজে তার থেকে বেশি প্রাসঙ্গিক আর কিছু নেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement