আইনি লড়াইয়ে মুখোমুখি আরবাজ খান ও অভিনব কাশ্যপ।
আইনি পথে নাকি ‘দাবাং’ পরিচালক অভিনব কশ্যপকে শায়েস্তা করতে চলেছেন আরবাজ খান!
সোশ্যাল মিডিয়ায় আরবাজের এই কথা ঘোষণার পরে সপ্তাহের প্রথম দিনেই হইহই পড়ে গিয়েছে বলিউডে। সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর পরেই স্বজনপোষণ নিয়ে সলমন খান এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছিলেন অনুভব। অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর কেরিয়ার নষ্ট করার তালে ছিলেন খান ব্রাদার্স।
সেই নিয়ে শোরগোল থিতিয়ে যাওয়ার আগেই রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় আরেক প্রস্থ ক্ষোভ উগরেছেন অভিনব। পোস্টে কী লিখেছেন? অভিনবের দাবি, “সলমনের বিয়িং হিউম্যান সংস্থা আসলে কালো টাকা সাদা করার জন্যই তৈরি। সমাজসেবা আসলে সলমন খানের ছুতো। বাবা সেলিম খানের পরামর্শে তৈরি এই সংস্থা।”
আরও পড়ুন: বিতর্ক চলছে, সুশান্তের ভক্তদের পাশে সলমন
আরও পড়ুন: বড় পর্দায় স্পটলাইট না পেলেও ওয়েবের রেড কার্পেটে এঁরাই স্টার
নিজের অভিযোগের স্বপক্ষে তাঁর যুক্তি, “আমি নিজের চোখে ‘দাবাং’ পরিচালনার সময় দেখেছি, মাত্র পাঁচটি সাইকেল দিয়েছে সংস্থা। পরের দিন খবরের কাগজে ৫০০ সাইকেল দেওয়ার খবর ছাপা হয়।সঙ্গে সঙ্গে জয়জয়কার সলমন খানের। এ সব করেই তো নিজের গুন্ডামি চাপা দেন ভাইজান! যাতে তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে যত মামলা ঝুলছে তা আস্তে আস্তে ধামাচাপা পড়ে যায়।”
অনুভবের এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়ালে পাল্টা জবাব হিসেবে আইনি পথে যাওয়ার হুমকি দিয়ে আরবাজ বলেন, “আমরা আইনি পদক্ষেপ করছি। ফিল্ম অ্যাসোসিয়েশনেও অভিযোগ জানিয়েছি। ব্যক্তিগত কাজিয়ায় একটুও আগ্রহী নই। তাই যা বলার, যা করার সবটাই হবে আইনি পথে।”
যখনই বলিউডে কোনও তারকার অপমৃত্যু ঘটে, তখনই অন্দরের কাজিয়া এ ভাবেই প্রকাশ্যে চলে আসে। ঠিক এখন যেমন খান ব্রাদার্স ভার্সেস অভিনব কশ্যপের মধ্যে চলছে। সময়ের প্রলেপে এক সময় থিতিয়েও যায় সেই দ্বন্দ্ব-সংঘাত। দাদা অনুরাগ যেহেতু এই ঝগড়ায় মুখে কুলুপ এঁটেছেন, তাই খান-কাশ্যপ তরজা কতদিন ধোপে টেকে, এখন সেটাই দেখার...।