উস্তাদ রাশিদ খান। ছবি: সংগৃহীত।
শিল্পীর নশ্বর দেহ ফুল এবং মালায় ঢাকা। অনুরাগীরা প্রিয় শিল্পীকে শেষ বারের মতো দেখার অপেক্ষায়। বুধবার রবীন্দ্রসদন চত্বরে প্রয়াত সঙ্গীত শিল্পী রাশিদ খানকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে উপচে পড়েছিল ভিড়।
বুধবার সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে নাকতলার বাড়ি থেকে রাশিদের মরদেহ রবীন্দ্রসদনে নিয়ে আসা হয়। তার পর শিল্পীকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে অনুরাগীদের ভিড় উপচে পড়ে। উপস্থিত ছিলেন শিল্পীর পরিবার এবং নিকটাত্মীয়রা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, ইন্দ্রনীল সেন, দেবাশিস কুমার, রাজ চক্রবর্তী। বেলা ১টা নাগাদ শিল্পীকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়।
রবীন্দ্রসদন চত্বরে শিল্পী রাশিদ খানকে গান স্যালুট দেওয়া হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত।
রাশিদকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সঙ্গীত জগৎ থেকে উপস্থিত ছিলেন হৈমন্তী শুক্ল, ঊষা উত্থুপ, তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদার, দেবজ্যোতি বসু, সমর সাহা প্রমুখ। রাশিদকে শেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের পর তাঁর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় শিল্পীর বাসভবনে।
গত ২২ নভেম্বর থেকে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন রাশিদ। গত কয়েক বছর ধরে শিল্পী প্রস্টেট ক্যানসারে ভুগছিলেন। চিকিৎসায় সাড়াও দিচ্ছিলেন। সম্প্রতি তাঁর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ (স্ট্রোক) হয়। সেখান থেকেই অবস্থার অবনতি শুরু। শিল্পীকে দক্ষিণ কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সেখানেই মঙ্গলবার বিকেল ৩টে ৪৫ মিনিটে প্রয়াত হন তিনি। রেখে গেলেন স্ত্রী, দুই কন্যা এবং এক পুত্রকে।
১৯৬৮ সালের ১ জুলাই উত্তরপ্রদেশের বদায়ূঁতে জন্ম রাশিদের। তিনি রামপুর-সাসওয়ান ঘরানার শিল্পী। যে ঘরানার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ইনায়েত হুসেন খাঁ-সাহিব। রাশিদ তালিম নিয়েছেন এই ঘরানারই আর এক দিকপাল শিল্পী নিসার হুসেন খাঁ-সাহিবের কাছ থেকে। তিনি ছিলেন রাশিদের দাদু। ১০-১১ বছর বয়সে কলকাতা চলে আসেন রাশিদ। সঙ্গীত রিসার্চ অ্যাকাডেমির স্কলারশিপ নিয়ে দাদু নিসার হুসেনের কাছে গান শেখা শুরু। তার পর থেকে গিয়েছেন কলকাতাতেই। বুধবার কলকাতা থেকে শিল্পীর মরদেহ পাড়ি দেবে বদায়ূঁ। তাঁর জন্মস্থানে। সেখানেই সমাধিস্থ করা হবে তাঁকে।