(বাঁ দিকে) মহুয়া রায়চৌধুরী। তমাল চক্রবর্তী ও রানা সরকার (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
মহুয়া রায়চৌধুরীর জীবন বড় পর্দায় আনছেন রানা সরকার। এই খবর প্রথম জানিয়েছিল আনন্দবাজার অনলাইন। পরিচালনায় সোহিনী ভৌমিক। শুটিং শুরুর আগে ছবি তৈরির অনুমতি নিতে তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন প্রযোজক রানা, পরিচালক সোহিনী, চিত্রনাট্যকার দেবপ্রতিম দাশগুপ্ত। খবর, প্রযোজকের সঙ্গে দেখা করেছেন একমাত্র সন্তান গোলা ওরফে তমাল চক্রবর্তী এবং তাঁর স্ত্রী। রানা আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছেন, ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে কিছু দিন চাকরি করার পর মায়ের মতো বিনোদন দুনিয়ায় পা রাখেন তমালও। তিনি মিউজ়িক অ্যারেঞ্জার। সব ঠিক থাকলে প্রয়াত মাকে ঘিরে তৈরি হতে চলা ছবিতেও তিনি মিউজ়িক অ্যারেঞ্জারের দায়িত্ব পালন করতে পারেন।
মহুয়া নেই ৩৯ বছর। তাঁর স্বামী তিলক চক্রবর্তীও নেই। প্রয়াত অভিনেত্রীর মৃত্যু ঘিরে নানা বিতর্ক। রানার আগে কেউ তাঁকে নিয়ে ছবি বানানোর কথাও ভাবেননি। তমালকে বিষয়টি জানানোর পর তাঁর প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল?
প্রযোজকের কথায়, “প্রথমে একটু অস্বস্তি কাজ করেছিল ওঁদের মনে। তমাল তাই অনুরোধ জানিয়েছিলেন, তাঁর মাকে ঘিরে যা যা বিতর্ক, শুধু সেগুলো নিয়ে যেন ছবি না বানাই। আমরা কথা দিয়েছি, মহুয়ার জীবন উদ্যাপন করাই আমাদের লক্ষ্য। ওঁর মতো প্রতিভাকে বড় পর্দায় ধরে আদতে বাংলা বিনোদন দুনিয়ার ইতিহাসকেই সমৃদ্ধ করতে চাইছি।” এর পরে আর তাঁরা ‘না’ বলেননি। খুশিমনে সম্মতি জানিয়েছেন। অনেক অজানা কথা জানিয়েছেন প্রযোজককে। গবেষণার কাজে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। একই সঙ্গে তমাল কথা দিয়েছেন, মায়ের জীবনীছবিতে তিনি সঙ্গীতের দায়িত্ব নেবেন।
মহুয়ার মৃত্যুর সময় তমাল মাত্র ৭। বাবা তিলক তাঁকে বিনোদন দুনিয়া থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে বড় করেছেন। বরাবর তাই তমাল অন্তরালে। বিনোদন দুনিয়ায় কোনও দিন মায়ের পরিচয় জাহির করে নিজের জায়গা করেননি তিনি, জানিয়েছেন রানা। কিন্তু পরিচয় জানার পর তমালকে টলিউড প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করেনি? প্রযোজকের যুক্তি, “পরিচয় জানার পর তমালকে তাঁর মা সম্বন্ধে অনেকে প্রশ্ন করেছেন। যতটা বলা সম্ভব ততটাই মুখ খুলেছেন তিনি।” ২৪ সেপ্টেম্বর মহুয়ার জন্মদিন। কাকতালীয় ভাবে মায়ের জন্মদিনের দিনেই জন্মেছেন তমাল। প্রযোজকের ইচ্ছে, ওই দিন তিনি ছবির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করে শুটিং শুরু করবেন।